
স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এমন দাবি করে জনগণ ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে স্টান্টবাজিতে মেতে উঠেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। এতে করে বিব্রত আড়াইহাজারের জনগণ।
সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের সঙ্গে মনোনয়নের লড়াইয়ে টিকে থাকতে সুমন তার কিছু মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারীদের দিয়ে এলাকায় নানা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি তিনি দাবি করছেন যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। এই দাবি প্রচারের অংশ হিসেবে তিনি তার কর্মচারীদের দিয়ে আড়াইহাজারের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মিষ্টি বিতরণও করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকেও তিনি ফোনে জানান যে, তারেক রহমান তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেছেন। এতে এলাকাজুড়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে,আন্দোলন-সংগ্রামের দিনগুলোতে কখনও রাজপথে দেখা যায়নি মাহমুদুর রহমান সুমনকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা কিংবা আইনি সহায়তার ক্ষেত্রেও তার কোনো ভূমিকা ছিল না। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
এ অবস্থায় নিজেকে আলোচনায় রাখতেই তিনি গত ১ নভেম্বর আড়াইহাজারের শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। তবে সেখানে উপস্থিতি ছিল একেবারেই সীমিত। বক্তৃতায় তিনি বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখাকে ভুলবশত “২৯ দফা” বলে উল্লেখ করলে উপস্থিতদের মধ্যে হাস্যরস ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন,“মাহমুদুর রহমান সুমন আমাদের খসরু সাহেবের ছেলে। তার বাবা বিএনপির জন্য অনেক কিছু করেছেন, কিন্তু ছেলেটা রাজনীতি বোঝে না। সে আমাদের বলল, ‘আমি ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছি, তারেক রহমান ফোন দিয়েছেন।’ তারপর আমাদের মিষ্টি খাওয়ালো। আজ সমাবেশে এসে দেখি, তার লোকই নেই।”
তিনি আরও বলেন,“তারেক রহমান তো ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, আর সুমন বলে ২৯ দফা! এতে বোঝা যায়, সে রাজনীতির কিছুই বোঝে না—শুধু মনোনয়নের নামে আমাদের সঙ্গে ফাঁকিবাজি করছে।”
স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এসব ভুয়া প্রচারণা ও নাটকীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান সুমন জনগণ ও দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।













