
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাবেক ক্যাশিয়ার জয়নাল আবেদীন ফারুক। আবারো আলোচনা এসেছেন। দোকানমালিকদের কাছ থেকে জাল দলিলের মাধ্যমে দোকান হাতিয়ে নেওয়া, পুরো মার্কেট কমিটিকে নিজের আওতায় এনে ইচ্ছে মতো কমিটি পরিচালনা ও দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতারণাসহ নানান অপকর্মের হোতা জয়নাল আবেদীন ফারুক। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে বর্তমান পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিনের সাথে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন। সকাল থেকে রাত অবদি পুরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। ছবিতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সাথে মিতালী মার্কেট সাইনবোর্ড লেখা একটি কাগজে লেখা ফুলের তোড়ার উপরে ভাসছে। ফুলটি পুলিশ সুপারের হাতে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন চার ব্যক্তি। এর মধ্যে এক জয়নাল আবেদীন ফারুক। ওপর জন যার মুখে দাড়ি তার নাম জামান, পাশের ব্যক্তি পলাশ মিয়া।
মিতালী মার্কেটের একাধিক দোকান মালিক জানিয়েছেন, জয়নাল আবেদীন ফারুক আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠকর্মী ছিলেন। তিনি ফ্যাসিষ্টদের দোসর। ২৪ এর গণঅভূত্থানের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে চিটগাংরোড অপরদিকে সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ফ্যাসিষ্টদের সহযোগী হয়ে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি ছুড়েছেন। অনেককেই হত্যা করেছেন এরা। জয়নাল আবেদীন ফারুকের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে।
সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেট দোকানদার মালিক সমিতির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী হাতিয়ার ও একনিষ্ঠকর্মী জয়নাল আবেদীন ফারুক ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চড়ে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে। তবে সে একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগের দোসর। এটা সবাই জানেন। কিভাবে একজন জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুশির সাথে ছাড়েন তা কোন ভাবেই বুঝে আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূইঘর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, এসপির সাথে ছবি তুলে জয়নাল আবেদীন ফারুক বেশ খোশ মেজাজে রয়েছেন। সে যে একজন আওয়ামীলীগের দেসর এবং ছাত্র জনতার হত্যাকারী তা ভুলেই গেছে। তাই দ্রুত তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মিতালী মার্কেটের চার নাম্বার ভবনের এক দোকানদার জানিয়েছেন, মিতালী মার্কেটটিকে এক সময় গিলে খেয়েছে জয়নাল আবেদীন ফারুক। আবারো ছাত্র হত্যার একাধিক মামলার আসামী ফারুক আবারো সক্রিয় হতে ইতোমধ্যে মার্কেটটির বিভিন্ন ভবনে দেশীয় অস্ত্র, মাদক মওজুদ করছে। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে এই অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশর সাড়াসি অভিযান দরকার বলে মনে করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম বার জানিয়েছেন, একটি গ্রুপ আমার কাছে সৈজন্য স্বাক্ষাৎ করতে এসেছে। আমাকে ফুলের শুভেচ্ছাও দিয়েছে। তবে সে কোন দলের লোক তা আমি জানি না। যদি সে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয় এবং বৈষম্য বিরুধী একাধিক মামলার আসামী হয় তাহলে তদন্ত করে এসকল অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।













