
‘তিন এমপির ছত্রছায়ায় কোটিপতি মামুন চেয়ারম্যান’ শীর্ষক শিরোনামে নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈদ্যারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন মিয়া। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিলো, কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর ছিলেন মামুন মিয়া। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বিশ^স্ত সেনাপতি হয়ে বিগত সতের বছরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। অবৈধভাবে হয়েছেন একাধিক বাড়ি, গাড়ি, জমাজমির মালিক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে চেয়ারম্যান মামুন মিয়া জানান, আমি একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলাম।
মেম্বার থাকা অবস্থায় সকলের সাথে মিলেমিশে এলাকার মানুষের সেবায় কাজ করতে হয়েছে। এর বাইরে আমি কারো সাথে সখ্যতা গড়ে তুলি নাই। পাঁচ আগস্ট আওয়ামীলীগের দোসররা পালিয়ে গেলে আমাকে ওই ইউনিয়ণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন এলাকার সর্ব স্তরের বাসিন্দারা। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরুধী যে মামলাগুলো রয়েছে তাও মিথ্যা। আমি এসকল মামলার জামিনে রয়েছি। মামলার বাদিরাও আমাকে জানিয়েছেন তারা ভূল করে আমার নাম জড়িয়েছেন। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করলে আমি মুক্তি পাব শতভাগ।
আমি জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ইউনিয়নবাসীর সেবায় সবর্দা নিজেকে নিয়োজিত রেখে চলেছি। এর বাইরে আমি কোন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। একটি স্বার্থান্নেশী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্নিত হয়ে সাংবাদিক ভাইয়ের দিয়ে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে আমার সামাজিক, পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি এই মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিবেদক
মামুন মিয়া
চেয়ারম্যান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ