
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিপো সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার তিন ঘন্টা পর আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও থেমে থেমে জ্বলে ওঠার পর সন্ধ্যার দিকে পুরো ট্রলারটিতে ভয়াবহ আগুন দেখা যায়।
এর আগে বুধবার দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। এদিকে বিকেল ৪ টা ১২ মিনিটের দিকে ট্রলারটিতে কোনো শ্রমিকের মরদেহ আছে কিনা খুঁজতে নামতে যাওয়ার আগে হঠাৎ করেই আবারো আগুন জ্বলে উঠে। তাৎক্ষণিক ১৫ মিনিট ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় আবারো ভয়াবহ আগুন ধরে যায় ট্রলারটিতে। ট্রলারের ভেতরে থাকা তেল থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থকতে পারে এমন ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। এর আগে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ট্রলার থেকে এক শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আরেক শ্রমিককে ঘটনার পর পরই ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরণের শব্দে মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানাসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিকে এ ঘটনায়, ওই ট্রলারের চার শ্রমিকের মধ্যে একজন নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ ছিলেন। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।
ডিপো সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রলারে চারজন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। এ সময় সেখান থেকে হয়ত আগুন লাগতে পারে। ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। এখন আবার আগুন ধরলেও আমরা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। আমরা এরই মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।