
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একটি নালিশা ভুমিতে আব্দুর রব মিয়া নামে এক ব্যাক্তি ভবণ নির্মাণের কাজ চলমান রাখায় দু’পক্ষ অবস্থান করছে মুখোমুখি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। নির্মাণ কাজে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাটি ঘটে সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রব মিয়ার মধ্যে।
পরবর্তিতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের সাথে নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত কর্তৃক আদেশ নামা সংযুক্তি করে দেন। এরপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষ্যান্ত হননি আব্দুর রব মিয়া।
এরই মধ্যে ভবন নির্মানের ফাঁকে পাশর্^বর্তী প্রতিবেশিদের ভুমিকেও নিজের মনে করে ব্যবহার করা ও বিল্ডিং কোড ভঙ্গ করে নির্মাণ কাজ করায় স্থাণীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও জমি বেদখলের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা দেন-দরবার, ফুসে উঠছে ভুক্তভোগীরাসহ এলাকাবাসী। তাদের দাবি, পুলিশ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে আব্দুর রব মিয়া এসব কর্মকান্ড চালাতে পারতেন না।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ক্রয় সূত্রে তফসিল বর্ণিত ১৪ শতাংশ জমি বাদি পক্ষের মালিকানা থাকা স্বত্তেও বিবাদী পক্ষ পেশি শক্তির বলে নকল কাগজপত্র বানিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত কাজের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-১১৪/২০১৯ মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুর রব মিয়ার মোবাইলে ফোন দিলে অপর প্রান্ত পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দিলে তিনি জানান, রব সাহেব মোবাইল রেখে ঢাকা চলে গেছেন। ফোন রিসিভকারীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তার নাম স্বপন বলে লাইনটি কেটে দেন। পরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ভুক্তভোগী হারুন অর রশীদ জানান, আদালতের উক্ত আদেশ অমান্য করে বিবাদী পক্ষ পেশি শক্তির ব্যবহার করে তাদের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমার সম্পদ রক্ষার্থে আমিই বাধা দিবো।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযুক্ত আব্দুর রব দাবি করেন তিনি তার জায়গাতেই কাজ করছেন। পরে উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি।