A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

বন্দরের রুপালি ও আমিন আবাসিক এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও মিলছে না সমাধান। সর্বশেষ বন্দর রুপালি আবাসিক এলাকায় আজহারুল ইসলামের ছেলে (নিহত) মেরাজুল ও জাবেদ মিয়ার ছেলে (আহত) আল আমিনের ঘটনায় ২ আসামি গ্রেফতার হলেও মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, খান মাসুদের নেতৃত্বে দুই রাজু’র সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে একদল কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন যাবত রুপালি ও আমিন আবাসিক এলাকা, বাবু পাড়া, মেরিন, সালেহ নগর সহ বিভিন্ন স্থানে ইভটিজিং, চাঁদাবাজি সহ নানা ধরণের অপরাধ করে আসছে।

রুপালি আবাসিক এলাকার মাদ্রাসা গলির শুভ, সজিব, নিরব, হিমেলের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানদার বলেন, আমার দোকানে এসে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা দাবি করেন মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং লিডার শুভ। চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। চাঁদা না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। তার ২ দিন পরেই দিনে দুপুরে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফেরত পেলেও শংঙ্কায় বসবাস করছি।

এলাকাবাসী আরো বলেন, রুপালি আবাসিক এলাকার দেহ ব্যবসায়ী শাহিদা আক্তার, তার ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার শুভ, সজিব, নিরব, হিমেল রুপালি আবাসিক এলাকায় মোবাইল ছিনতাই, ইভটিজিং, চাঁদাবাজী, লুন্ঠন, মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। পঞ্চায়েত কমিটি নামমাত্র, এই বিষয়ে তাদের কোন তৎপরতা নেই।

এ বিষয়ে রুপালি পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দুলালকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, রুপালি আবাসিক এলাকা শান্তিপ্রিয় এলাকা তবে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংদের কারণে আজ আমাদের সমাজটা প্রশ্নবিদ্ধ। আমি আশা করি এমপি মহোদয় সেলিম ওসমান যদি সুদৃষ্টি রাখেন, তাহলেই মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত সুন্দর রুপালী আবাসিক এলাকা হবে।

এলাকাবাসী জানান, বন্দর আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে তবে পুলিশ প্রশাসন চাইলে কিশোর গ্যাং, মাদক, চাঁদাবাজ মুক্ত নগরী হবে রুপালি আবাসিক এলাকা।

আগের সংবাদ দেখুনবগুড়ার হত্যা মামলার আসামী আড়াইহাজারে গ্রেফতার
পরের সংবাদ দেখুনধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, অতঃপর…