A Top Ads

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনারগায়ের পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে সদ্য যোগদানকারী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় ওই শিক্ষককে স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণ দর্শানোর জন্য জবাব চাওয়া হয়েছে।

বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পঞ্চমীঘাট এলাকায় পঞ্চমীঘাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম গত দুই মাস পূর্বে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি একই উপজেলার দবিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পঞ্চমীঘাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর আমিনুল ইসলাম এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন। যেখানে তিনি নিজেই উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বাবু অমল পোদ্দারের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে জমা দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় তাকে উক্ত কর্মকান্ডের জন্য কারণ দর্শানোর জন্য জানানো হয়।

ঐ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ফারুক হোসেন জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মাত্র দুই-তিন মাস পূর্বে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পরই সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে অপরাধ করেছেন, তা কোনভাবেই কাম্য নয়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য লিটন মিয়া জানান, একজন শিক্ষক নীতি ও আদর্শ বিষর্জন করে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ শিক্ষক কীভাবে ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষা দিবেন, এটা কোনভাবে বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে পঞ্চমীঘাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা যখন বিষয়টি জানতে পেরেছি, সাথে সাথে তার আবেদনটি ঝুলিয়ে রেখেছি।

পঞ্চমীঘাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু অমল পোদ্দার জানান, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে ধরনের অপরাধ করা হয়েছে, তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। ওই শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাম্য নয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, আমি এমন কোন কাজ করিনি। তবে আবেদনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিয়েছিলাম। পরে তা আমি আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

সোনারগাঁও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, এ বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগের সংবাদ দেখুনতিন শিশুর চুল কেটে দেওয়া মেয়রের জামিন
পরের সংবাদ দেখুনপরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান