
নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে গত তিনদিন যাবৎ বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া এবং তীব্র শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাজকর্ম করতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর পরিবার পরিজনের মাঝে নানা রকম সমস্যা বিরাজ করছে।
টানা তিন দিন যাবত মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমে যাওয়াসহ ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। এই শীত ও ঠান্ডায় অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে সমাজের ধনবান ও বিত্তবানদের দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন এলাকার সুধীসমাজ ও সচেতন মহল।
নারায়ণগঞ্জে শিল্পনগরী হওয়ায় লাখো শ্রমিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন সকালে কাজের জন্য তাদের ঘর থেকে বেরোতে হয় এই শীতকে উপেক্ষা করে কর্মের উদ্দেশ্যে।
অপরদিকে ারায়ণগঞ্জ সদরের তুলনায় রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও বন্দরে শীতের প্রকোপ অনেকটা বেশি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছে এসব এলাকার শ্রমজীবী কৃষকেরা।
অন্যদিকে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট, বড় নানা ধরনের দূর্ঘটনা রাস্তাঘাটে ঘটেই চলেছে। যা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বে-সরকারি সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে সহায়তার মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে অনেকেই মত প্রকাশ করছেন।
গার্মেন্ট শ্রমিক জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিউটি শেষে ওভার টাইম করে বাড়ি ফিরছি। রাতে তো ঠান্ডায় থাকাই যায় না। এখন সকালে গার্মেন্টসে আসার সময় কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট আমাদেরই হয়।