A Top Ads

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও চারটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে কালের কন্ঠ কে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।

এর আগে গত ২৭ ও ৩০ জুন বাদি হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন সিরাজুল ইসলাম, মুনজিল হোসেন, আল আমিন, এবং মো. ওয়াজেদ আলী ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আল আমিনের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের (৭২), আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৩), একেএম শামীম ওসমান (৬৪), তার পুত্র অয়ন ওসমান (৩৭), ভাতিজা আজমেরী ওসমান (৪৫) ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলকে (৪২) আসামি করা হয়েছে। উক্ত মামলায় আরও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে সিরাজুল ইসলামের দায়ের করা মামলায়ও শামীম ওসমান (৬৪), অয়ন ওসমান (৩৭), আজমেরী ওসমান (৪৫) এবং শাহজালাল বাদলকে (৪২) আসামি করা হয়েছে। মামলাটিতে অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ওয়াজেদ আলীর দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের (৭২), আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৩), একেএম শামীম ওসমান (৬৪), অয়ন ওসমান (৩৭), আজমেরী ওসমান (৪৫) ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের (৪২) নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন ৬০-৭০ জন।

অপর দিকে মুনজিল হোসেনের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অজ্ঞাত ৭০-৮০ জন আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বৃষ্টি হার্ডওয়ার দোকানের সামনে বাদী মুনজিল হোসেনের ছেলে সুজন খান (২৯) উপস্থিত ছিলেন। সেদিন এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিরা ঘটনাস্থলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ভিকটিম সুজন খান নাভির নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

পরদিন ২০ জুলাই বিকেল ৪টার সময়ে বাদী সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই আলাউদ্দিন (৩৬) আন্দোলনরতদের সঙ্গে যোগ দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানিনগর অংশে বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে তাদের দমাতে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। তখন ভিকটিম আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

একই দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে বাদী আল আমিনের ছোট ভাই ভিকটিম আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হর। গুলিবিদ্ধের দু’দিন পর ডাচ্ বাংলা ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন মহাসড়কের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ভবনের সামনে মামলার বাদী ওয়াজেদ আলীর ছোট ভাই ভিকটিম আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ২৭ জুন একটি আর বাকি ৩টি মামলা ৩০ জুন রুজু হয়েছে।

আগের সংবাদ দেখুনবাম জোটের রোডমার্চ
পরের সংবাদ দেখুনআওয়ামীলীগের দোসরের হাতে বিএনপির সদস্য ফরম