A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

জীবনের নিরাপত্তা সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পেতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে জালকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার মারিয়া চার জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বুধবার (২২ মার্চ) ঐ ছাত্রী জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত এই আবেদনটি করে।

লিখিত আবেদনে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের ওটারচর গ্রামের মো. আমিনুল হক (৭৩), আজহারুল ইসলাম (৩৬), পারুল (৪৫), সাকিব (২৫) দীর্ঘদিন যাবৎ মারিয়া ও মাতা মুক্তি আক্তারকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। বিভিন্ন মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে মানসিক চাপে গত ৯ ফেব্রুয়ারিতে মারিয়ার পিতা খবির হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই সময়ে মারিয়া ও তার মা সহ পরিবারের কোন সদস্য বাসায় ছিলো না। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারিয়ার দাদা মো. আমিনুল হক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মারিয়ার মা মুক্তি আক্তার, নানু লতিফা বেগম, নানু ভাই রমজান ও মামা লুৎফর রহমানকে আসামী করে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনায় গত দশ ফেব্রুয়ারি মামলা (নং ১৭) দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং হয়রানীমূলক বলে দাবী করে ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার মারিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে আমিনুল হক ও পারুল সহ অন্যান্য উশৃঙ্খল লোকেরা মারিয়া এবং মারিয়ার মায়ের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুৎসা সহ এলাকায় মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে।

গত ১৬ মার্চ সকাল আনুমানিক ৮টায় জালকুড়ি এলাকায় মারিয়াকে পথিমধ্যে একা পেয়ে অহেতুক গালিগালাজ ও হুমকী ধামকী প্রদান করে আমিনুল হকসহ অন্যান্য খারাপ প্রকৃতির লোকেরা। যার কারণে মারিয়া স্কুলে যেতে পারছে না এবং সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ করে এই ছাত্রী। বর্তমানে স্কুলে যাওয়া-আসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মান সম্মান ক্ষুন্ন করার লক্ষে প্রতারক আমিনুল গং সেই চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এসে জীবননাশের হুমকীসহ অপহরণ করার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে মারিয়াকে এবং মারিয়ার ছোট ভাই মুস্তাহিদ (১০)’কে পেলে পিটিয়ে মারারও হুমকী দেয়।

বর্তমানে মারিয়া ও তার পরিবারের সকল সদস্যগণ সহ নিকটাত্মীয়রা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছে এবং ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়। সেই সাথে লতিফা, রমজান, লুৎফর ও মুক্তিকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে সম্মানের সহিত তাদের বেচে থাকার কথা বলেন মারিয়া। উপরোক্ত বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানান স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মৃত খবিরের মেয়ে মারিয়া।

আগের সংবাদ দেখুনশীতলক্ষ্যায় নারীর লাশ
পরের সংবাদ দেখুনসামাজিক ভূমিকা ও গুণীজন সংবর্ধনা