
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফের আত্মীয় পরিচয়ে সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী কার্য্যালয়ে চাকুরী নিয়ে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নিয়ন্ত্রণেই চল ওই কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম। অথচ গত জুলাই মাসে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে ওই পদে বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন ওই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষতমায় আসার পর আওয়ামলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ নিয়মণীতি উপেক্ষা করে প্রকৌশলী কার্যালয়ে এসএম মোস্তুফিজুর রহমান কার্যসহকারি পদে চাকুরী দেন ওই আওয়ামীলীগের নেতা। মোস্তাফিজুর রহমান তার এলাকায় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বেশ দাপটের সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। মোস্তাফিজের এক মামা এলজিডি অফিস ঢাকায় পিউন থাকার কারণে চুক্তিভিত্তিক প্রকল্পে চাকরিতে যোগদানের পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি গত পাঁচ বছর চরম অনিয়ম করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর শেল্টারে তিনি তার এম এম এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টেন্ডারবাজিতে হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের কর্য সহকারীর মেয়াদ গত বছরের ৩০ জুন চাকুরী শেষ। তবে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এখনও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
অনুসন্ধান বলছে, কোন ঠিকাদার সরকারি অফিসে থাকতে চাকুরীজীবী হিসেবে থাকতে পারবেন না। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের বেলায় তা পুরোপুরি ভিন্ন দেখা গেছে। একই সাথে রাজনীতি, ঠিকাদারি, সরকারি চাকুরী তিনটিই তিনি করছেন। অবৈধভাবে ঠিকাদারি, রাজনীতি ও চাকুরি করে তিনি তার শশুর বাড়ি রাজশাহীতে বিলাসবহুল একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। রাজশাহীতে মিনি গার্মেন্টসের মালিক হয়েছেন।
ঠিকাদাররা জানান, মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামীলীগ আমলে বহাল তবিয়তে চাকুরী করলেও এ সরকারের আমলে কিভাবে বহাল তবিয়তে পূর্বের ন্যায় অপারকাত চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহবান জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কার্য্যালয়ের এক ঠিকাদার নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, কৌশলগত ভাবে মোস্তাফিজকে ওই কার্য্যালয় থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন পর পরিস্থিতি ঠিক হলে তাকে ফের তার পদে বহাল করার হবে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলার প্রকৌশলী অফিসের কার্যসহকারী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বারবার মুঠোফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রকৌশল কার্য্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া তার চুক্তিভিত্তির চাকরীর মেয়াদ শেষ। চাকরীরত অবস্থায় কিভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চালিয়েছন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ সময়ে এই উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না।