A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা হচ্ছে আজ মাত্র কয়েকদিন পরই। এরই মধ্যে মনোনয়ন পেতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে। ইতিমধ্যে যারা মনোনয়ণ প্রত্যাশী তারাই দলের নির্দেশনায় মাঠে কাজ করছেন।

সবাই যার যার মত করেই নিজেদের অবস্থান জানান দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সাধারণ ভোটাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সঙ্কা আর আশঙ্কা কাজ করছে এমনটাই মাঠের চিত্র বলছে। প্রতিদিনই সন্ধায় চায়ের কাপে ঝড় তুলছে সাধারণ ভোটাররা।

সোনারগাঁ ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠছে সোনারগাঁয়ের পাড়া মহল্লা। নির্বাচনী হাওয়া ইতিমধ্যে বইছে ঈশাখার রাজধানী সোনারগাঁয়ে। নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার।

ইতিমধ্যেই আব্দুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এছাড়াও বর্তমান এই আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও আসনটি পেতে আবার দৌড়ঝাপ করছেন।

তবে যদি জাতীয় পার্টি মহাজোটের সাথে জোট হয়ে নির্বাচন করে তাহলে হিসেবে আগের মত থাকতে পারে এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। আর যদি জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের সাথে এক হয়ে নির্বাচন না করে তাহলে এবারে সোনারগাঁবাসী এই আসনে নতুন মুখ দেখবে এই আসনে এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে সোনারগাঁজুড়ে। এক্ষেত্রে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএম এর প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এটর্নি জেনারেল ওয়ালিউর রহমান খাঁনের নাম শোনা যাচ্ছে বেশ জুরেসুরে।

স্থানীয়রা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি সংসদীয় আসনে নানা সমীকরণ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন (সোনারগাঁ) থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)’র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মনোনয়ণ পাচ্ছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান। তিনি ১৯৯০ সাল থেকেই এই আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সেবা করতে মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন।

দীর্ঘদিন পর এবার এই আসনে তিনিই মনোনয়ণ পাচ্ছেন এমনই গুঞ্জন উঠেছে পুরো সেনারগাঁজুড়ে। এ বিএম ওয়ালিউর রহমান খান উপজেলার বুরুমদী এলাকার মৃত: আব্দুস সাত্তার খানের ছেলে। তিনি ১৯৭০ সালে বুরুমদী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ এসসি, ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে এল এল বি(অনার্স), ১৯৭৬ সালে একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে এল এল এম ডিগ্রী অর্জন করেন।

১৯৮০ সালে তিনি ঢাকায় আইনজীবী পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সনদ প্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে আপিল বিভাগের সনদপ্রাপ্ত হয়ে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হন।

পরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা সমিতির মহাসচিব,বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি সুপ্রিম কোর্ট ভিত্তিক সংগঠন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এল এল বি (অনার্স), এল এল এম সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য,১৯৮৮ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১৯৯০ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ, পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে সমিতির বিভিন্ন উন্নয়ণে অবদান রাখেন।

তিনি আজীবন সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতিতে। এছাড়া জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাবেক আইন সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএলএম) এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির আহবায়ক। আব্দুল আউয়াল নামে সোনারগাঁয়ের এক বাসিন্দা জানান, আমরা শিক্ষিত, মার্জিত মানুষকে প্রার্থী হিসেবে চাই। যিনি সোনারগাঁয়ের উন্নয়ন করবেন। সোনারগাঁকে ভালবাসবেন এমনই প্রার্থী আমরা চাই। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এটর্নি জেনারেল এবিএম ওয়ালিউর রহমান অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। এলাকার জন্য তার মন কাঁদে।

তিনি এলাকাকে কিছু দিতে চান। উন্নয়ন করার মনমানুষিকতা রয়েছে তার। তাকেই আমরা আগামী নির্বাচনে চাই। আকলিমা খাতুন নামে মহজমপুর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আমরা এমন একজন প্রার্থী চাই যিনি নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন করবেন। যিনি সোনারগাঁয়ের উন্নয়ণ করবেন । সোনারগাঁকে একটি স্মাট নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। একজন সুশিক্ষিত মানুষ চাই আমরা।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান,(বিএনএম)’র প্রার্থী জানান, একজন সৎ শিক্ষিত মানুষই পারে সমাজকে বদলে দিতে। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে যোগ্য লোকের খুব অভাব। তাই প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ের যেভাবে উন্নয়ণের কথা ছিলো সেভাবে উন্নয়ণের ছোয়া লাগেনি। নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছি। আমি যদি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই তাহলে সোনারগাঁয়ের উন্নয়ণে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। আধুনিক সোনারগাঁকে গড়ার জন্য পর্যায়ক্রমে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করবো। বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি যদি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমিও সোনারগাঁ থেকে প্রার্থী হবো। এবং নির্বাচিত হয়ে সোনারগাঁয়ে আধুনিক সোনারগাঁ হিসেবে গড়ে তুলব।

আওয়ামীলীগে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার জানান, আমি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ণ প্রত্যাশী। আমি যদি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হই। তাহলে সোনারগাঁকে একটি স্মার্ট সোনারগাঁ হিসেবে গড়ে তুলব। শেখ হাসিনারকে এই আসনটি উপহার দিবো। বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জানান, যেভাবে সোনারগাঁয়ের উন্নয়ণ করেছি, মানুষ যদি মুল্যায়ণ করেন, তাহলে আমিই হবো আবারো সংসদ সদস্য।

 

 

 

আগের সংবাদ দেখুনমিথ্যা মামলা থেকে সজুকে মুক্তির দাবি
পরের সংবাদ দেখুনঅবরোধের বিরুদ্ধে রাজপথে এমপি খোকা