নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবহেলিত মানুষের আশা ভরসার আশ্রায়স্থল মারুফুল ইসলাম ঝলক। ছোট বেলা থেকেই মানব সেবা করতে করতেই তিনি বড় হয়েছেন। এলাকাবাসীর প্রতি তার মায়া ভালবাসা প্রখর। তাই তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়ে সোনারগাঁবাসীর উন্নয়ণ করতে চান এমনটাই গণমাধ্যমের কাছে ব্যক্ত করেছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল দশ বছর ধরে এই আসনে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। তবে তার কাজে অনেকেই হতাশ, কেউ কেউ আগামীতে আর চান না তাকে। অনেকেই চাইছেন এই আসনে তারুণ্যের প্রতিধ্বনি মারুফুল ইসলাম ঝলককে। তারা মনে করেন ঝলক নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করবে। তাদের মুখে হাসি ফুটাবেন। এলাকার উন্নয়ণে নিজেকে বিলিয়ে দিবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও কায়সার হাসনাতকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়ার পরও তাঁর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা ও তাঁর চাচাত ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক এ এইচ মাসুদ দুলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে ভোটাররা কাকে তাদের কাঙ্খিত ভোটি দিয়ে বিজয়ী করবেন সেটিই দেখার বিষয়।

এলাকাবাসীরা বলছেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইয়ার ছেলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক তার বাবার আর্দশে গড়া। ছোট বেলা থেকেই বাবার কাছ থেকেই দেখেছেন কিভাবে অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করতে হয়। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাজের উন্নয়ণ করতে হয়। তাই তিনি সোনারগাঁয়ের অভিভাবক হলে সোনারগাঁ হবে একটি স্মার্ট নগরী। থাকবেনা এখানকার মানুষের মাঝে কোন হতাশা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সোনারগাঁবাসীর স্বপ্ন পুরন করতে চান। সোনারগাঁকে একটি স্মার্ট নগরীতে রুপান্তর করতে চান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় জনকের স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান তিনি।