A Top Ads

আসাদুজ্জামান নূর, সিদ্ধিরগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ): ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাচপুর সেতুর নীচে বিআইডব্লিউটিআইয়ের জায়গা দখল করে রমরমা বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় বালু খেঁকোরা। সেতুর নীচে প্রতিদিন বালু নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্টাকগুলো যাতায়াত করায় সেতুর পিলার দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্খা করছেন এলাকাবাসীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিরব ভুমিকা পালন করছেন।


শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর নীচে গিয়ে দেখাযায়, সোহান এন্টার প্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম, মুক্তার এন্টার প্রাইজের মালিক মুক্তার হোসেন নামে দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ লাল ও সাদা বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

বালু আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত বালুবাহি ট্টাক পিলারের নীচে আসা যাওয়ার ফলে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোন তোয়াক্কা না করেই দেদারছে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। বিআইডব্লিউটি আইয়ের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপদ বিভাদের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।

শিমড়াইল এলাকার বাসিন্দা আসলাম হোসেন জানান, সেতুর নীচে যেভাবে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছেন এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কাচপুর সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। যদি কোন কারণে সেতুটির ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচিছন্ন হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়ে অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

পথচারী করিম মিয়া জানান, এত জায়গা খালি থাকতে সেতুর নীচে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছেন দুই ব্যক্তি। শুনেছি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।

ওয়াকওয়ে হাটতে আসা আটি এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে শীতলক্ষা নদীর পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ এ ওয়াকওয়ে দিয়ে হাটাচলা করে থাকেন। বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ওয়াকওয়ে দিয়ে হাটাচলা করতে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

পথচারী শিমুল মাহমুদ জানান, কোটি কোটি টাকা খরচকরে ওয়াকওয়ের সৌদর্য বৃদ্ধি করার জন্য গাছ লাগিয়ে ছিলেন সরকার। কিন্তু বালু ব্যবসায়ীরা এসকল গাছ কেটে ফেলে সেই জায়গায় বালু ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে পরিবেশ যেমন দূর্ষন হচ্ছে তেমনিভাবে সৌদর্য হারাচ্ছে ওয়াকওয়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম ও মোক্তার হোসেন কালের কন্ঠকে জানান, জায়গাটি খালি পড়ে থাকায় আমরা বিআইডব্লিউটিআইয়ের অনুমতি নিয়েই বালুর ব্যবসা করছি। বালুর ট্টাক আসা যাওয়ায় সেতুর পিলারের ক্ষতি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, আমরা কোনভাবেই সেতুর পিলারের ক্ষতি হউক এটা চাই না।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস কালের কন্ঠকে জানান, নদীর তীরের জায়গাটি বিআইডব্লিউটিআইয়ের কর্মকর্তারা দেখাশুনা করছে। তাই তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিআইয়ের যুগ্ন পরিচালক শহিদুল্লাহ কালের কন্ঠকে জানান, আমি নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক কালের কন্ঠকে জানান, কাচপুর সেতুর নীচে অবৈধভাবে কেউ বালুর ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সেতুর পিলারের ক্ষতি হলে তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ

আগের সংবাদ দেখুনএমপি হিসেবে দেখতে চান ওয়ালিউর রহমান খাঁনকে
পরের সংবাদ দেখুনদন্ত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর