
সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় সুদের টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে গ্রামের মোঃ নুরনবীর হোটেলের কর্মচারী নাহিদের কাছ থেকে সুদের টাকা আদায় নিয়ে মজিবর মেম্বারগং এর সাথে ভাংচুর ও মারধরের ঘটনার সৃষ্টি হয়।
সুদের টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাও বটতলা বাজারে আল সুন্নাহ ভোজন বিলাস নামক একটি হোটেলের কর্মচারী নাদিম ১নং আসামি রুবেল ভূইয়ার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা সুদে ঋণ নিয়ে লাভে আসলে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ভয় -ভীতি ও প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করিলে, সে অন্যত্র পালিয়ে যায়। হোটেল মালিক নূরনবীর কাছ থেকে তার কর্মচারিকে না পেয়ে
রুবেল গং অকথ্য ভাষায় নূর নবীকে গালি গালাজ করতে থাকে এবং টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে নুরনবী বাধা দিলে তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রড, লাঠি, রামদা ইত্যাদি দিয়ে তার হোটেল ভাংচুর ও মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ ২৬,০০০ টাকা পয়সা নিয়ে যায়।
ফলে নূর নবীর বটতলায় অবস্থিত হোটেলের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ক্ষয়-ক্ষতি হয় এবং প্রচন্ড মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলা,ফুলাসহ তার চোখে আঘাত লেগে ফুলে যায়।তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোক ছুটে এসে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরেই মজিবুর রহমানের ছেলে রুবেলগং আবার নূরনবীর ইউনিক পাওয়ারপ্লান্ট এর সামনে থাকা একটি দোকান ও ঘর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার টাকার মালামাল লুট ও প্রায় ২০০০০০/দুই লক্ষ টাকার আসবাপত্রের ক্ষয় -ক্ষতি করে অভিযোগে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে,দুধঘাটা এলাকার মেম্বার মজিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে রুবেল ভূইয়া, ,সুমন ভূইয়া , রোমান ভূইয়া , মেজু ভূইয়া ও জাহের আলীর ছেলে মাহাবুব সিকান্দার , পিতা মৃতঃ গিয়াস উদ্দীনের ছেলে ফারুক ভূইয়া ,ওয়াব আলী সরকারের ছেলে বধু সরকারসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে নুরনবী সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহাবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।