A Top Ads

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার গাড়ি ভাংচুর করার অভিযাগ উঠেছে একদল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিনগর এলাকার মৃত: রুস্তম আলীর ছেলে জুলহাস উদ্দিন লিটনের সাথে একই এলাকার আলম মিয়ার ছেলে ফাহিম মিয়ার সাথে পরিবহন ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জেড় ধরে রুস্তম আলীর ছেলে জুলহাস উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে কালাম মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, সেলিম ওরফে বালতি সলিম, হিরণ মিয়ার ছেলে লিটন ওরফে রড় লিটন, খোরশেদ আলমের ছেলে সাহবুদ্দিন ওরফে চায়না, কালাম মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়াসহ একটি শক্তিশালী বাহিনী লোহার রড, এস এস পাইপ, চাইনিজ কোড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে পরিবহন ব্যবসায়ী ফাহিম মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে তার ব্যবহৃত পাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-গ, ১৪-৬৮৩৬) গ্লাসসহ গাড়ি ভাংচুর করেন। এসময় তার আত্মচিৎকারে তার ভাই জুয়েল মিয়া বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ফাহিম মিয়াকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী ফাহিম মিয়া জানান, লিটন মিয়া, সিকিম আলী ও বালতি সেলিম শ্রমিক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে শিমড়াইল দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। তাদের চাঁদা আদায়ে বাধা দিলে ব্যবসায়ী ফাহিম মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে লিটন মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে আহত করে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি গ্লাসসহ ভাংচুর করে ব্যপক ক্ষতি সাধন করে। চাঁদা উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন লিটন ও তার সহযোগীরা। তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাকের ঢগায় কিভাবে প্রতিদিন পরিবহন থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছেন তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। ৩ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এসকল চাঁদাবাজরা কয়েক বছর যাবৎ বুক ফুলিয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা উত্তোলন করছে। ইতিমধ্যে তাদের নিয়োজিত চাঁদাবাজদের চাঁদা উত্তোলণকালে র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসকল চাঁদাবাজরা ফের চাঁদা উত্তোলন করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলহাস উদ্দিন লিটন,বালতি সেলিম ও শিকিম আলীর যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি সামাদ বেপারী জানান, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করার জন্য শ্রমিকলীগের কোন নেতাকে বলা হয়নি। শ্রমিকলীগের ব্যানারে কেউ চাঁদা উত্তোলন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, এ বিষয়ে ফাহিম মিয়া বাদি হয়ে জুলহাস উদ্দিন লিটনকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।

আগের সংবাদ দেখুনজয়ের অপেক্ষায় আলহাজ্ব সোহাগ
পরের সংবাদ দেখুনঅবশেষে জয়ের মালা ছিনিয়ে আনলেন সোহাগ