
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এদিকে মহাসড়কের উত্তর পাশের শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের কাউন্টার গুড়িয়ে দেয়ায় হাজারো যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশ ও সওজের কিছু কর্মকচারীকে মাসোহারা দিয়ে সড়কের দক্ষিণপাশে মহাসড়কের একটি আলাদা লেন দখল করে দখলবাজরা দোকান-পাট বসিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছিলো। এতে ওই সড়কের লেনে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচল করতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলেও সওজ এতোদিন কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে সংবাদ ছাপা হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। তাই বুধবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযানে দুরপাল্লার শতাধিক পরিবহন কাউন্টার গুড়িয়ে দেয়ায় ঢাকা থেকে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পূর্বাঞ্চলীয় ১৮ জেলার বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রোদ, বৃষ্টি থেকে যাত্রীরা রেহাই পেতে বাঁশের খুঁটির উপর পলিথিন কিংবা পুরনো টিন দিয়ে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ওই পরিবহন কাউন্টারগুলো সড়কের ফুটপাথ থেকে নিরাপদ দুরুত্বে স্থাপন করেছিলো পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
পরিবহণ কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা জানান, সড়ক উন্নয়ন করা হয় পরিবহন যোগাযোগ সুবিধাজনক করার জন্য। মানুষের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই ঝড়-বৃষ্টির দিনে যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে বাধ্য করায় তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরো বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় প্রভাবশালীদের দখলে সওজের জায়গা থাকলেও সেগুলো রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করছে না সওজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যাত্রীদের স্বল্প সময়ের জন্য আশ্রয় নেয়া কাউন্টারগুলো গুড়িয়ে দেয়ায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ যাত্রীদেরকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে প্রায় অর্ধলক্ষ যাত্রী শিমরাইল থেকে তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে যেতে যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনে উঠে থাকে। ফলে ভ্যাপসা গরমে ও প্রচন্ড তাপদাহ এবং বৃষ্টির সময় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকায় নারী, শিশু ও বয়ষ্ক মানুষের যাত্রীবাসের জন্য অপেক্ষা করা অনেক দুর্ভোগের। অপ্রয়োজনীয় এমন উচ্ছেদ বন্ধ করা এবং দুরপাল্লার স্থায়ী পরিবহন কাউন্টার স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন কাউন্টার মালিকেরা ও কর্মচারী।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর থানা হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, যাত্রীদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারবো। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের অবস্থান করার আশ্রয়স্থল আমরা দিতে পারবো না।
নারায়ণগঞ্জ সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ফুটওভার ব্রিজের সম্প্রসারণ কাজের জন্য উচ্ছেদ করা হয়েছে।













