
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমড়াইল মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)’র জায়গায় ফের ফুটপাতে অবৈধ দোকান বসানোর নামে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় একটি চাঁদাবাজ চক্র। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ফুটপাতের দোকানীরা।
সম্প্রতি ফুটওভার ব্রীজ সম্প্রসারণ, ডেডিকেটেড লাইনসহ সংস্কার কাজের জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের যৌথ অভিযানে শিমড়াইল মোড়ে মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা উচেছদ করা হয়। গত কয়েকদিন যাবৎ এসকল অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট বসানোর কথা বলে বিভিন্ন দফতরের নাম ভাঙ্গিয়ে দোকানীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি শিমড়াইল মোড়ে ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়কালে গেল বছরের ২২ জানুয়ারি চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে র্যাব-১১ এর হাতে গ্রেফতার হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফল ব্যবসায়ী জানান, দোকান বসানোর কথা বলে জামাল মিয়া ও তার সহযোগীরা আমার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি ইতিমধ্যে তাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকী পাঁচ হাজার টাকা দোকান বসানোর পর তাকে দিতে হবে।
ফুটপাতের কাপড়ের দোকানী জানান, আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলেও আমি কোন টাকা দিতে রাজি হইনি। দোকান বসানোর পর তাদের দাবিকৃত টাকা দিয়ে দোকান চালু করতে হবে।
একজন মোবাইল পার্টস দোকানদার জানান, আমাদের দোকান বসানোর কথা বলে প্রতি দোকানদারের কাছ থেকে গত এক সাপ্তাহের মধ্যে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জামাল মিয়া ও তার সহযোগীরা। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সওজের কর্মকর্তা ও নেতাদের ম্যানেজ করার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে এসকল টাকা আদায় করেন তারা। জানিনা টাকা দেওয়ার পরও দোকান বসাতে পারব কিনা। এ নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল মিয়া জানান, আমি দোকান বসানোর কথা বলে কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করিনি। চাঁদা আদায়ের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে সময়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো।
শিমড়াইল মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শরফুদ্দিন আহম্মেদ জানান, মহাসড়কে যাতে গণপরিবহন নির্বিঘ্নে চলতে পারে সেজন্য মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় দোকান যাতে আর বসতে না পারে সেজন্য প্রতিদিন আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ফের কেউ দোকান বসানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন শামীম জানান, ফুটওভার ব্রীজ সম্প্রসারণ, মহাসড়কের ডেডিকেটেড লাইন সংস্কারসহ বেশ কিছু সংস্কার কাজের জন্য অবৈধ স্থাপনা উচেছদ করার পর সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন চাঁদাবাজ দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।