নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
নারায়ণগঞ্জের মেট্রো হল মোড় থেকে মিরপুর রোডে চলাচল করে হিমাচল পরিবহন। যাদের নিদির্ষ্ট ডিপো না থাকায় অনুমতি না নিয়েই ডিপো-স্ট্যান্ড বানিয়ে ব্যবহার করছে এই পরিবহনটি। জেলা ট্রাফিক পুলিশ অফিসের নাকের ডগায় চলছে এ পরিস্থিতি। তারপরও দেখেও যেন দেখছেনা জেলা ট্রাফিক পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ের সামনে রাস্তা দখল করে দিন-রাত অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখে হিমাচল পরিবহনের প্রায় ১৬-২০টি গাড়ি। যার ফলে চাষাঢ়াগামী পরিবহনগুলো পড়ছে বেশ বিড়ম্বনায়। তবুও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ।
সরজমিনে দেখা যায়, দিনের বেলায় ১৫-১৬টি গাড়ি রাস্তার মধ্যে দুই লেন করে রাখা হয়েছে। যেখানে কাউন্টার চলাকালীন সময়ে ৩টি গাড়ি রাখার কথা, সেখানে গাড়ি চলুক আর নাই চলুক এখন ১৫-১৬টি গাড়ি রাস্তার মধ্যেই রাখা থাকে। কোন গাড়ি নষ্ট হলেও সেই গাড়ি ঠিক করা হয় মেট্রো হল সংলগ্ন রাস্তার মাঝেই। যার কারণে যেকোন সময়ই এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করছে এ পরিবাহনের গাড়িগুলো।
আরো দেখা যায়, কালির বাজার থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোও হিমাচল পরিবহনের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ডন চেম্বার মোড় থেকে মেট্রো হল মোড় হয়ে ট্রাফিক অফিস পযর্ন্ত গাড়ি রাখে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই।
গাড়ির স্টাফদের কাছ থেকে জানা যায়, আগে যে স্থানে হিমাচল পরিবহনের গ্যারেজ ছিলো সে স্থানের মহাজন সেখানে আর গাড়ি রাখতে দেয়না। তাই তারা মেট্রো হল মোড়ে গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছে। তারা আরো জানান, রাস্তার মধ্যে গাড়ি রাখতে তাদেরও ভালো লাগে না। তারাও চায় গাড়িগুলো নিদির্ষ্ট গ্যারেজে রাখা হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্টাফ বলেন, ডিপো এতদিন জালকুড়ি স্ট্যান্ডের পরে ছিলো। কিন্তু রাস্তা ঠিক করার কারণে এখানে সবাই গাড়ি রাখে এবং ওইখানে স্ট্যান্ড থাকা অবস্থায় মালিকদের অতিরিক্ত তেল খরচ হতো, সেই খরচ আর হচ্ছে না। তাই তারা এখান থেকে গাড়ি সরাতেই চায়না।
সাধারণ মানুষ বলছে ট্রাফিক অফিসের সামনেই যারা এইভাবে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় গাড়ি রাখে, সাধারণ মানুষদের এতো ভোগান্তিতে ফেলতে পারে তারা! যে সাধারণ যাত্রীদের তারা কত ধরনের ভোগান্তিতে ফেলে তা কল্পনাতিত।
কাউন্টারের দ্বায়িত্বে থাকা লোকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, আমরা কিছু দিনের জন্য এইখানে গাড়ি রেখেছি। খুব শীঘ্রই আমরা ডিপো নিবো, তখন আর এখানে এতো গাড়ি থাকবে না। এখন ডিপো হিসেবে মেট্রো হল মোড় ব্যবহার করার কোনো অনুমতি পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে কাউন্টার থেকে কোনো অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি তারা।
হিমাচল পরিবহনের পরিচালক মুন্না বলেন, আমরা এখানে অল্প কিছু দিনের জন্য গাড়ি রেখেছি। নতুন ডিপো নেয়ার আগ পযর্ন্ত বাধ্য হয়ে এখানে গাড়ি রাখতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন ও প্রসিকিউশন) মো. আব্দুল করিম শেখ বলেন, যে গাড়ি গুলো রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, নিয়মিত রেকার করে জরিমানা করছি।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan