A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি খালপাড় এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় যুব মহিলালীগ নেত্রীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি খালপাড় এলাকার যুবলীগের কার্যালয়ে বসে ছিলেন যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত রাসেল ও ফাতেমা আক্তার নামের ওই যুব মহিলালীগ নেত্রী। এ পথ দিয়ে যাওয়া প্রাইভেটকারে থাকা কিশোরগ্যাং প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও তার ভাই ভেডিল এক্সো গ্রুপের প্রধান সারিব ইসলাম ও তাদের সহযোগী মহিন মিয়া, মিলন মিয়া, মুন্না মিয়া ও সুজন মিয়া।

এসময় যুবলীগের কার্যালয়ে বসে থাকা যুব মহিলালীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তারের উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। এসময় তার পরনে থাকা জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে তারা। পরে ওই আওয়ামীযুবলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে আমাদের আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে বসে আলাপ করার সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামের বড় ছেলে কিশোরগ্যাং প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও মেজো ছেলে ডেভিল এক্সো গ্রুপের প্রধান সারিব ইসলামসহ তাদের কয়েকজন সহযোগী হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে আমার উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করেন।

এসময় সন্ত্রাসীরা আমার পরনের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। আমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, শফিকের সন্ত্রাসী তিন ছেলে পুরো সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজক্ত কায়েম করে চলছে। বিভিন্ন অভিযোগে একাধিকবার র‌্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও বারবার ফিরে এসে এলাকায় ফের ত্রাসের রাজক্ত কায়েম করছে। এসকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত রাসেল জানান, আমরা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রাম করে অফিসে এসে বসেছিলাম। এমন সময় কিশোরগ্যাং প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও তার ভাই ডেভিল এক্সো গ্রুপের প্রধান সারিব ইসলামসহ একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসহ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মহিলা যুবলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তারের উপর হামলা চালায়। ওই সময় আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা টাকা ও ফাতেমা আক্তারের গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অমানবিকভাবে ফাতেমা আক্তারকে মারধর করেন।

তার ডাকচিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এলে পালিয়ে যায় এই সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন, কিশোরগ্যাং, ডেভিল এক্সো গ্রুপ মাফিয়া গ্রুপের অত্যাচারে আমরা দিশেহারা অবস্থায় আছি। আমরা এই বাহিনীদের কাছ থেকে মুক্তি চাই। প্রশাসেন সর্বোচ্চ পদক্ষেপ চাইছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগ্যাংয়ের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের প্রধান সারিব ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায় নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, যুব মহিলালীগ নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় ফাতেমা আক্তার বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের চিহিৃত করে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন র‌্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে:কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে টেনশন গ্রুপ, ডেভিল এক্সো গ্রুপ ও মাফিয়া গ্রুপের লিডারসহ সতের জন সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় ফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ পেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আগের সংবাদ দেখুনসাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদসভা
পরের সংবাদ দেখুনসোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের আনন্দর‍্যালি