
নিউজ ডেস্ক
ফতুল্লার শাসনগাও বিসিক এলাকায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই যুবককে আটকে রেখে টাকা দাবীসহ মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জরুরী সেবা ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত পাচঁ জনকে আটক করে। এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ বিসিকস্থ কাদের-খালেকের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক এবং নির্যাতিত দুই যুবককে উদ্ধার করে।
নির্যাতনের শিকার দুই যুবক লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি থানাধীন ভেলাভরির নুর আমিন মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (১৮) এবং একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ইলিয়াস হোসেন রিংকু (২৪)। তারা উভয়েই আপন চাচাতো ভাই। নির্যাতনের শিকার ফরিদ বিসিক এলাকায় ‘নিউ কালার জনি প্রিন্ট’ কারখানায় এবং রিংকু ‘এম.এস ডাই প্রিন্ট এন্ড ফিনিসিং’ নামক কারখানায় কাজ করে বলে জানায় তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি থানাধীন মৃত আশরাফুলের ছেলে মজিদ মিয়া (১৮), একই এলাকার মোবার রহমানের ছেলে মো. নুর নবি (২০), জামাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (১৯), আশরাফুল আলমের ছেলে মো. আল আমিন ও ফতুল্লা মডেল থানাধীন বিসিক পাচতলা মোড় এলাকার রহমত মিয়ার ভাড়াটিয়া মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে শান্ত (১৯)।
নির্যাতনের শিকার ফরিদ ও রিংকু জানায়, তারা সকলেই একই সাথে একই বাড়ীতে একই রুমে ভাড়ায় বসবাস করে। তারা বিসিক এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করে আসছিলো। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত চারটার দিকে তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতারকৃতরা সহ আরো ৩-৪ যুবক। তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে মোবাইল চুরি করার অপবাদ দিয়ে মারধর করতে থাকে। কোমরের বেল্ট, লাঠি এবং লোহার পাইপ দিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় বলে জানায়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের জন্য ৬০ হাজার টাকা দাবী করে তাদের পরিবারের নিকট মোবাইল ফোন করা হয়। যখন পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হচ্ছিলো, তখন তাদেরকে মারধর বৃদ্ধির পাশাপাশি চিৎকার করে কান্না করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, নির্যাতনের শিকার দুই যুবকের পরিবার জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরে বেলা ১২ টার দিকে বিসিক পাচতলা মোড়স্থ কাদের-খালেকের ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের শিকার দুই যুবককে উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। এ বিষয়ে মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।