নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দশপাইপ এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ঈদ আনন্দ মেলা বসিয়েছেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রাজু। শুধু তাই নয় অবৈধ মেলার নামে মাদক ও জুয়া খেলার আসর বসিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলা পরিচালনা করছেন তিনি।
জালকুড়ি দশপাইপ এলাকায় মেলাপ্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার দুই পাশ দখল করে প্রায় দেড়শ দোকান বসানো হয়েছে। প্রতিদিন এসকল দোকান থেকে দেড়শ থেকে দুইশো করে চাঁদা উত্তোলন করেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনূল ইসলাম রাজুর সহযোগী তানভীর হোসেন,দোলন মিয়া ও ফেরদৌস মিয়া নামের তিন ব্যক্তি। এরা তিনজন আমিনূল ইসলাম রাজুর প্রভাব খাটিয়ে ঈদ আনন্দ মেলার নামে প্রতিদিন রাতে মেলায় জুয়া আসর বসিয়ে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জালকুড়ি দশপাইপ এলাকার এক বাসিন্দা জানান, মেলার নামে মাদক আর জুয়ার আসর বসিয়েছেন তানভীর হোসেন, দোলন মিয়া ও ফেরদৌস মিয়া নামে এই তিন ব্যক্তি। এরা তিনজনই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনূল হক রাজুর সহযোগী হিসেবে প্রতিদিন মেলার সকল দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন। এছাড়াও জুয়ার আসর বসিয়ে মানুষকে পথে বসাচ্ছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মেলার মাদক সেবীদের আখড়া বসে সন্ধা থেকে রাত অবদি। দ্রুত এ মেলা বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি।
জাকির হোসেন নামে এক দোকানী জানান, মেলার নামে চাঁদাবাজি করছে এরা। প্রতি দোকান থেকে দেড়শ থেকে দুশো টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছেন তারা। টাকা না দিলে দোকানীদের উপর অত্যাচার চালায় তারা।
আবুল কালাম নামে এক দোকানী জানান, মেলার নামে রাতভর জুয়ার আসর চলে এখানে। কয়েকদিন আগে ডিবি পুলিশ আসার খবরে মেলা থেকে জুয়ার আসর বন্ধ করেছেন তানভীর,দোলনরা। তবে এরাই আমিনূল হক রাজুর নাম ভাঙ্গিয়ে মেলাটি পরিচালনা করছেন। এ টাকার ভাগ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যায় বলেও এরা বলে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর হোসেন, দোলন মিয়া, ফেরদৌস মিয়া জানান,মেলার নামে কোন অশ্লিল কাজ চলে না। আমরা শুধু মেলা দিয়েছি। তবে মেলার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তার কোন সদত্তোর দিত পারেন নি তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনুল হক রাজু জানান, এলাকার ছোট ভাইয়েরা মেলা দিয়েছে। মেলায় কোন অবৈধ কার্যকলাপ হয় না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর জানান, জালকুড়িতে মেলা কে বা কারা চালায় আমার জানা নাই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় কোন মেলা চালাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যারাই পরিচালনা করছেন অবৈধভাবেই করছেন। মেলার নামে অশ্লিলতা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মেলার নামে যারাই জুয়ার আসর জমিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan