ফতুল্লায় ৬ বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে গিয়ে হাতে নাতে গ্রেপ্তার হয়েছে অপহরণকারী স্বামী-স্ত্রী। এবং উদ্ধার করা হয় অপহৃত শিশু সানজিদাকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার শাহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পুত্র শাহ মোঃ আজমির (২৪) ও তার স্ত্রী ইমু আক্তার (২২)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুই টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার বিসিক এলাকা থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার সহ গ্রেফতার করা হয় অপহরনকারী আজমির ও তার স্ত্রী কে।
এ ঘটনায় অপহৃত শিশুটির বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাগলাস্থ বাসার সামনে খেলার সময় বাদীর ৬ বছর বয়সী শিশু মেয়ে সানজিদা নিখোঁজ হয়। তাকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত ৭টার দিকে গ্রেফতারকৃত আজমির স্থানীয় ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকান মালিক আরিফের ফোনে ফোন করে জানায় সানজিদাকে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিশুর বাবা- মায়ের সাথে কথা বলতে চায় অহরণকারী। পরবর্তীতে ফ্ল্যাক্সি লোড দোকানী আরিফ বাদীর স্ত্রীকে ডেকে এনে বিস্তারিত জানিয়ে আজমিরীর ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য বলে। তারা যোগাযোগ করলে শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে ১২ হাজার টাকা দাবী করে। তখন বিষয়টি মৌখিক ভাবে পুলিশকে অবগত করা হয়। অপহরণকারীর দাবীনুযায়ী প্রথমে বিকাশ নাম্বারে দুই হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এবং বাকী ১০ হাজার টাকা সরাসরি দেওয়া হবে বললে আজমির তাদেরকে বিসিক এলাকায় যেতে বলে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে আজমিরকে গ্রেফতার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার স্ত্রী ইমু আক্তারকে গ্রেফতারসহ উদ্ধার করে অপহৃত শিশুটিকে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রউফ জানায়, শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী- স্ত্রী সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan