
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে লাঙ্গনবন্দ পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার ভোর থেকেই এই যানজটের জটলা লক্ষ্য করা গেছে। মহাসড়কে কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে ও প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে এই দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুর বারোটায় মহাসড়কে ধীরে ধীরে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ভোর থেকেই যানজটের শুরুটা হয়েছে। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে জ্যামে বসে থাকে নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন দূরদূরান্তের পথযাত্রীরা। তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের লাঙ্গনবন্দ সেতু পর্যন্ত দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে শতশত গাড়িতে আটকে পড়া যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে অলস সময় পার করছেন।
পিয়াল হাসান নামে চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী জানান, ভোরে সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সাইনবোর্ড থেকে কাচপুর সেতু পার হতেই তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়। জানিনা কখন গন্তব্যে পৌছাতে পারব। পারভিন আক্তার নামে চৌদ্দগ্রামগামী এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, আগে জানলে আজ গাড়িতে উঠতাম না। ছেলে মেয়ে নিয়ে এক প্রকার বিপাকেই আছি।
এখনো সাইনবোর্ডে কখন বাড়ি পৌছাবো সেই চিন্তাই করছি। শ্যামলী পরিবহনের চালক শাহ আলম জানান, ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। কাঁচপুর সেতু পার হতেই কয়েক ঘন্টা সময় বসে থাকতে হয়েছে। একদিকে প্রচন্ড বৃষ্টি অন্যদিকে যানজট একে বারে অসস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কখন যে সিলেট গিয়ে পৌছাতে পারব কিছুই বুঝতে পারছিনা। তিনি বলেন, শুনেছি রাস্তায় কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে আছে তাছাড়া রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। এ কারনেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ট্টাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাঈম জানান, ভোর থেকেই মহাসড়কের কেউঢালা, লাঙ্গলবন্দসহ কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। তবে দুপুর বারোটার পর থেকে যানজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা ভোর থেকেই মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছি।