
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্র সানারপাড় এলাকায় ২ বিঘা নিঃকন্টক জমির উপর বহুতল রহমান শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ চলাকালে একদল চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ চক্রের হুমকি ও দাবির মুখে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, উক্ত জমি সংক্রান্ত সিএস দাগ নং ১৬২ এবং এসএ ও আরএস দাগ ২২৫, ২২৬, ২২৯ — মোট ৫২.৫ শতাংশ জমি — ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। ফজলুর রহমান দলিল নং ১২০৫, ১৯৭৬ অনুসারে জমি ক্রয় করেন এবং পরে নামজারি ও জমাভাগ সম্পন্ন করেন। মৃত্যুকালে তিনি মোহাম্মদ আলী গংদের ওয়ারিশ রেখে যান, যাদের নামে বর্তমানে খাজনা ও নামজারী আপডেট রয়েছে।
ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে নাম— কামাল, মনির, রুবেল, ফিরোজ, জামাই মতিন, আওয়ামী লীগ নেতা শাওন ও সৈয়দ হোসেন। এদের আইনগত সহায়তা দিচ্ছেন এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তারা বিভিন্ন সময় মালিকপক্ষের নিকট মোটা অংকের ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
মালিকপক্ষকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে “দলিল থাক বা না থাক, মোটা অংকে চাঁদা দিতে হবে, না হলে দেখে নেবো কিভাবে এলাকায় থাকেন।”
জিডি ও আইনি পদক্ষেপ মালিক পক্ষ সিদ্দিরগঞ্জ থানায় জিডি নং ১৮৯৪/২৫ দায়ের করেছে।
তারা জানিয়েছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে চাই। কিন্তু চাঁদাবাজদের হুমকির কারণে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।”
মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মামুনুর রহমান (মালু) বলেন: “আমরা কারো সাথে দ্বন্দ্ব চাই না। কিন্তু যদি সঠিক দলিল থাকে, তাহলে জমি ছেড়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অথচ গত ৩৫ বছরেও কেউ একটি বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।”
অভিযোগ করলে ভূমিদস্যুরা বলেন:
”আমাদের কাছে কাগজ আছে!” — কিন্তু স্পষ্ট করে কিছুই উপস্থাপন করেন না।
দলিল চেয়ে বললে এড়িয়ে যান, বা বলেন — “দেখাব পরে”।
প্রশাসনের বক্তব্যঃ
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন: ভূমিদস্যুতা একটি বিষফোড়া। যথাযথ অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন: “বর্তমান সরকারের দায়িত্ব, জনস্বার্থে ভূমিদস্যুদের রুখে দাঁড়ানো।”
ভূমির বৈধ মালিকদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।