
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একের পর এক বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ঘটছে। রাত নামতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে দুস্কৃতিকারীরা বসতবাড়িতে হানা দিচ্ছে। তারা ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বাঁধা দিতে গেলেই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকে।
এতে উপজেলাজুড়েই এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুযোগ বুঝে প্রায় প্রতিরাতেই ডাকাতরা হানা দিচ্ছে বসতবাড়িগুলোতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট হলেও পুলিশ এগুলো উদ্ধার করতে পারেনি। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও থানায় লিখিত কোন অভিযোগ দিতে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন না। যাওয়ার সময় ডাকাতরা নানাভাবে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। ডাকাত কবলিত এলাকাগুলোতে পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন অনেকে।
গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দী এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী শামীম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় একতলা ভবনের প্রধান প্রফটের তালা কেটে দুস্কৃতিকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে দুই পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে প্রায় ১২ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে ব্যবসায়ী শামীম, তার স্ত্রী মাফিয়া বেগম ও তার ভাবি মরিয়মকে মারধর করে ডাকাত সদস্যরা। শামীম জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত সদস্য ভবনের প্রধান ফটকের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা তার শোবার কক্ষে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে।
পরে আলমারী ভেঙে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কা ও ৭০ হাজার টাকা লুটে নেয়। পরে ডাকাতরা তার ভাবি প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়মের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে মরিয়মকে মারধর করা হয়। তিনি আরও জানান, তার মা হালিমা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করে ডাকাতরা ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কয়েক দামী কম্বল নিয়ে যায়। তাদের বাড়িতে ডাকাতরা দেড়ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব চালিয়েছে। তারা রাত দেড়টার দিকে প্রবেশ করে ৩টার দিকে চলে যায়।