নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং মব লিঞ্চিং করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জে চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যাণ্ডে এ মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সমন্বয়ক সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য হাসান মাহমুদ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই আগস্ট ছাত্র—শ্রমিক—জনতার অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে আসা অন্তবতীর্কালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এসরকারের একটা প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা। কিন্তু নিত্যপন্যের দাম এখনো কমেনি। এখনও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ তাদের খাবার কমিয়ে দিয়েছে। এখনো বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। দ্রুত সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে এবং বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মব লিঞ্চিং করে হত্যা, নির্যাতন, দখল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, চাকরি থেকে অপসারণ ইত্যাদি হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে দুইটি হত্যাকান্ডের নির্মমতায় জাতি স্তম্ভিত হয়েছে। ফরিদপুরে লালন শাহ-র আখড়া ভাংচুর, সাভার ও কুষ্টিয়ায় দরবার শরীফে হামলা, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগণের উপর হামলাসহ বিভিন্ন বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। এইসব বন্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে মানুষ চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এইসব ঘটনায় দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া না গেলে
জুলাই—আগস্টের ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানের মর্মবস্তু ধ্বংস হয়ে যাবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের আশায় মানুষ জীবন দিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি, দুঃশাসন, দমনপীড়ন, লুটপাটের ব্যবস্থার পরিবর্তন না করলে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তনে গণমানুষের আকাংক্ষা পূরণ হবে না। জুলাই আগস্ট অভ্যূত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অভ্যূত্থানে নিহত—আহতদের সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পুনর্বিবেচনা করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ ২০২৪, ১৯৯০ ও ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই জারি রাখার জন্য জনগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং মব লিঞ্চিং করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জে চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যাণ্ডে এ মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সমন্বয়ক সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য হাসান মাহমুদ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই আগস্ট ছাত্র—শ্রমিক—জনতার অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে আসা অন্তবতীর্কালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এসরকারের একটা প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা। কিন্তু নিত্যপন্যের দাম এখনো কমেনি। এখনও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ তাদের খাবার কমিয়ে দিয়েছে। এখনো বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। দ্রুত সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে এবং বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মব লিঞ্চিং করে হত্যা, নির্যাতন, দখল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, চাকরি থেকে অপসারণ ইত্যাদি হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে দুইটি হত্যাকান্ডের নির্মমতায় জাতি স্তম্ভিত হয়েছে। ফরিদপুরে লালন শাহ-র আখড়া ভাংচুর, সাভার ও কুষ্টিয়ায় দরবার শরীফে হামলা, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগণের উপর হামলাসহ বিভিন্ন বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। এইসব বন্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে মানুষ চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এইসব ঘটনায় দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া না গেলে
জুলাই—আগস্টের ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানের মর্মবস্তু ধ্বংস হয়ে যাবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের আশায় মানুষ জীবন দিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি, দুঃশাসন, দমনপীড়ন, লুটপাটের ব্যবস্থার পরিবর্তন না করলে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তনে গণমানুষের আকাংক্ষা পূরণ হবে না। জুলাই আগস্ট অভ্যূত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অভ্যূত্থানে নিহত—আহতদের সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ পুনর্বিবেচনা করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ ২০২৪, ১৯৯০ ও ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই জারি রাখার জন্য জনগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।