
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদেও দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে গুলিবৃদ্ধসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, বিএনপিকর্মীরা হরতালের সমর্থনে সকালে পাঁচরুখী এলাকায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এসময় পুলিশের গুলিতে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, কালাপাহাড়িয়া উনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক মুছা মিয়া, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলম মিয়া, বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মুজিবর মিয়া, খাজা মাঈনুদ্দিনসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, আমাদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের উপর গুলি চালিয়েছে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব আমার বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায়। পুলিশ ও র্যাবের পাহাড়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের হামলায় আমিসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, আড়াইহাজার উপজেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার সাথে কোন অবস্থাতেই জড়িত ছিলেন না। আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে আমরা পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। এসময় কমপক্ষে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।