
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আইনশৃংখলার চরম অবনতি লক্ষ করা গেছে। শুধু মাত্র
জানুয়ারী মাসে ১টি হত্যাকান্ড, ২টি ডাকাতি ও ৫টি চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ৪৩টি। এর মধ্যে মাদক মামলা ২১টি, ধর্ষন ১টি, যৌতুক মামলা ২টিসহ আরো অন্যান্য মামলা দায়ের হয়েছে ১১টি। তবে গত জানুয়ারী মাসে বন্দর থানায় অস্ত্র, এসিড ও পুলিশ আক্রান্তের কোন মামলা দায়ের হয়নি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে বন্দর থানায় ২১টি মাদক মামলায় র্যাব, ডিবি ও বন্দর থানা পুলিশ বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৬৮ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪৯ হাজার ৯০০ পিছ টপনেটাডল ট্যাবলেট, ৬৮ কেঁজী ৫’শ গ্রাম গাঁজা, ১৬ বোতল বিদেশী মদ ও ১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়াও বন্দর থানা পুলিশ গত মাসে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে সিআর মামলার ওয়ারেন্ট ৩০ জন ও জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ৪০ জন এবং সাঁজাপ্রাপ্ত ১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত জানুয়ারী মাসে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। গত মাসে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিরাতেই বন্দরে কোন না কোন স্থানে অহরহ চুরি ঘটনা ঘটছে। গত মাসে বন্দরে লন্ডন ও সৌদি আরব প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত ডাকাত দল গ্রেল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে প্রচার পরিমান স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চুরি করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, বন্দরে দুইটি ডাকাতি ঘটনা ছাড়া বন্দরে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা ভালো। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ইতিমধ্যে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত মাসে বন্দর থানায় দায়েরকৃত ৪৩টি মামলার মধ্যে একুশটি মামলা হলো মাদকের।
গত ১ মাসে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি সংস্থা বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য আনুমানিক মূল্য ৪৮ লাখ ৪২ হাজার ৫’শ ৫০ টাকা।
বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে রাতের বেলায় পুলিশের টহল জোরদার রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে বন্দরে কাজ করছে পুলিশ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি বন্দরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।