নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বালিগাঁ, মুছাপুর, মনারবাড়ী বিলে প্রকাশ্যে চলছে মাটি খেকো সাইদুল ও সুমনের ফসলি জমির মাটি কাটা। প্রশাসন নিরব ভূমিকায়, এ যেন দেখার কেউ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মুছাপুর ধামগড় ইউনিয়নের মনারবাড়ী, বুনিয়াদি, চৌরার বাড়ী, বালিগাঁ, রানিজী, তুলাতলি মুছাপুর ফুলকন থেকে সাইদুল, সুমন ও তরিকুলের দাপটের সাথে ধুমধাম ফসলি জমির মাটি বিক্রি চলছে।
এদিকে সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হতে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। আইন থাকলেও প্রশাসনের সামনেই চলছে ধুমধাম ফসলি জমির মাটি কাটা।
সরজমিনে গিয়ে মাটি খেকো কাউকেই না পাওয়া গেলে ফোন করলে মাটি খেকো তরিকুল ইসলাম বলেন, এরকম অনেক সাংবাদিকই আসে। আপনি কোন চ্যানেলের সাংবাদিক? অফিসে আইসেন, দেখা কইরেন। ফসলি জমির মাটি বিক্রি অপরাধ, এ বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।
নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুরুব্বি বলেন, মাটি খেকোদের কারণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কিছু বললেই কিশোর গ্যাং দিয়ে হুমকি ধামকি দেয়। আমাদের বাপ দাদার ফসলি জমি থেকে আমরা এক সময় ধুম-ধাম করে ধান নিয়ে আসতাম, এখন শুধুই স্মৃতি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের এলাকাবাসীর চাওয়া মাটি খেকোদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ মিয়াকে একাধিক বার কল করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan