
সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর এলাকার বাসিন্দা পুলিশের এক উপ পরিদর্শক মাত্র চার বছরে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। কিভাবে এত অল্প সময়ে অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হলেন দূর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। বর্তমানে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঢাকার বিমান বন্দরে দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকাবাসী ও অনুসন্ধান চালিয়ে জানাযায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের টান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সদর আলীর ছেলে কদম আলী গত চার বছর পূর্বে পুলিশের এ এসআই পদে যোগ দান করেন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আছেন।
এলাকায় চাউর আছে তার বাবা রুপগঞ্জের মুড়াপাড়া ঝুট মিলের সামান্য বেতনে শ্রমিকের চাকুরী করতেন। অল্প আয়ের সংসার চালাতে না পেরে এক সময় ঋন গ্রস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পাওয়াদারের টাকা দিতে না পেরে সে সময়ে সদর আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তীতে তার ছেলে পুলিশের চাকরী নেওয়ার পর আর পিছনে তাকাতে হয়নি সদর আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের। ছেলে কদম আলী চাকরী নেওয়ার চার বছর যেতে না যেতেই অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।
টানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নূর জাহান আক্তার জানান, সদর আলী এক সময়ে ঠিক মতন চুলা জ্বলতো না তার ছেলে পুলিশে চাকরী পাওয়ার পর রাতারাতি বদলে যায় তাদের ভাগ্যের চাকা। আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন মাত্র চার বছরে।
আক্কাছ আলী নামে এক ব্যক্তির জানান, পুলিশের চাকরী করে এত অল্প সময়ে কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তা কোনভাবেই বুঝতে পারছিনা আমরা। দূর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের হিসেব দেখলেই তার অবৈধ টাকার উৎস বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
এক এলাকার মুদি দোকানদার রমিজ উদ্দিন জানান, শুনেছি লটারীর টাকা পেয়ে মানুষের ভাগ্য বদলে যায়। এখন দেখছি পুলিশের চাকরী পেলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। সদর আলী এক সময়ে ছেড়া জামা কাপড় পরে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। তিনি আজ পুরো এলাকায় তার ছেলে পুলিশের এসআই এর নাম ভাঙ্গিয়ে দাবরিয়ে বেড়াচেছন তার পরিবারে সদস্যরাও সাধারণ মানুষকে হুমকি ধুমকি দিয়ে থাকেন। তারা দাম্ভিকতার সাথে বলেন, তাদের পুলিশ অফিসার রয়েছে।বেশী বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এস আই কদম আলী মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভুইয়া জানান, শুনেছি টানপাড়া এলাকায় পুলিশের এক এসআই মাত্র কয়েক বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েগেছে। তার স্বজনরাও এলাকায় বেশ প্রভাব বিস্তার করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অবৈধ সম্পদ অর্জন করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কদম আলীর বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।