A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের পর হালিমা নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়।

প্রথমে ঘটনাটিকে হত্যাকান্ড বলে দাবী করলেও পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান মৃতের ছেলে মাসুদ ওরফে শুটার মাসুদ। মঙ্গলবার আড়াইহাজারের ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা ব্রাহ্মন্দী এলাকার মোবারকের স্ত্রী।

রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্যুটার মাসুদের ছোট ভাই জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে এসআই মাজহার ও এএসআই মাহবুবের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আমার বড় ভাইকে খুঁজতে বাসায় আসে। এসময় তারা বাসায় এসে ভাঙচুর চালায় এবং গালিগালাজ করতে থাকাে। এসময় আমার মা বাধা দিতে গেলে তারা আমার মাকে ঘুষি দেয়, ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে আমরা আম্মুকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে নিয়ে আসার পর ডাক্তার আমার মাকে মৃত ঘোষণা করে।

তবে পরবর্তীতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ভুল বলে জানান মাসুদের ছোট ভাই। ফেসবুকে প্রচারণার পর সকালে নিহতের বাড়িতে তদন্তের জন্য যায় পুলিশ। এসময় পুলিশ লাশটি পোস্টমর্টেম করতে চাইলে ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবী করেন তিনি। এসময় লাশ পোস্টমর্টেম না করার জন্যেও অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এই ছেলের নাম শ্যুটার মাসুদ। তার বিরুদ্ধে দুটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। আসামিকে গ্রপ্তার করতে পুলিশ গিয়েছিল কিন্তু তাকে ঘরে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ গিয়েছিল আর এই মহিলা রাত এগারোটায় স্ট্রোক করেছে। এটা নিয়ে ও সিম্প্যাথি পেতে চেয়েছে। সে র‍্যাব ও পুলিশের রেড এলার্টে রয়েছে।

তিনি বলেন, সকালে আমরা এ ঘটনা জানতে পেরে তার বাড়িতে গিয়েছি। আমরা বলেছি যদি পুলিশের দোষ থাকে শাস্তি হবে। আমরা পোস্টমর্টেম করি তাহলে। তখন তারা বলে এটা আমরা উদ্দ্যেশ্যমূলক ভাবে করেছি। এটা যেন আমরা না করি। পরবর্তীতে তারা ভুল স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও দিয়েছে।অভিযুক্ত এসআই মাযহারকে একাধিকবার তার মুঠো ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি

আগের সংবাদ দেখুনজনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে বিএনপি: মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
পরের সংবাদ দেখুনকেন্দ্রীয় নেতাকে গুলি করার হুমকি