A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

নারায়ণগঞ্জ শহরের মার্কেট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, আবাসিক ভবনে নেই পার্কিং যথাযথ ব্যবস্থা। যানজটে স্থবির হয়ে আছে পুরো শহর। শহরে অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বহুতল ভবনগুলোতে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন যানবাহন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পার্কিং করে রাখা হয়। এর ফলে সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।

শহরের প্রধান দুটি সড়ক বঙ্গবন্ধু রোড ও নবাব সলিমুল্লাহ রোড ঘুরে দেখা যায়, সড়ক দুটিতে অবস্থিত বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতাল ভবনগুলোর নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেই। পার্কিংয়ের কোন জায়গা না রেখেই সেখানে হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে।

মেডিস্টার জেনারেল হাসপাতাল, মেডিহোপ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডি লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল, সিটি লাইফ হাসপাতাল’সহ আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কোন পার্কিং ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের সামনে রাস্তা দখল করে লম্বা সিরিয়ালে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে।

একদিকে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্ক হয়ে থাকে অপরদিকে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের সামনে পার্ক করে রাখা হয়। এ যেন ‘এক রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’। অবৈধ পার্কিং এর কারণে সড়কের এক অংশ দখল রাজ্যে। ফলে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এই যানজটের প্রভাব এসে পড়ে নগরীর প্রাণ চাষাঢ়া চত্বরে।

মেডিস্টার জেনারেল হাসপাতালের নিচ তলায় পাকিং এর স্থানে বিভিন্ন কক্ষ তৈরী করে রাখা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালের নিচে তথ্য সংগ্রহের কেন্দ্র। কিন্তু যানবাহন রাখার কোন স্থান নেই। হাসপাতালের দ্রব্যাদি বহনের গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং এর স্থান না থাকায় রাস্তাতেই পার্ক করে রাখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীদের গাড়ি রাস্তায় থাকে। আর এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, এখানে চিকিৎসা ব্যয় আকাশ চুম্বী। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নিচু মানের। সরকারি কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মূল্যে বিভিন্ন টেস্ট করানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেনারেল হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পার্কিং না থাকলেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। লোকজন রাস্তায় গাড়ি রাখছে।’ বঙ্গবন্ধু সড়কে গ্রান্ড হল রেস্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারের নিচে যানজটে থাকাকালীন একজন আনিসুর রহমান বলেন, ‘শহরের বেশিরভাগ বিল্ডিং এ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। আর হাসপাতালের সামনে অনেক বেশি গাড়ি রাখে। দুটি রিক্সা একসাথে চলাচলের জায়গা থাকে না। এমন অবস্থা হয়ে যায়। পুরো রাস্তায় গাড়ি রাইখা দেয়।’

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) শেখ ইমরান হোসেন বলেন, রমজান মাসে শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। আর অবৈধ গাড়ি পার্কিং বন্ধে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। যারা অবৈধ পার্কিং করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা জরিমানা করা হচ্ছে।

আগের সংবাদ দেখুনফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
পরের সংবাদ দেখুন৬৩ হাজার ইয়াবা’সহ গ্রেফতার ৬