
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের ছবি সংবলিত পোস্টার-ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোমবার আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার উচিৎপুরা বাজার এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারকে নারায়ণগঞ্জ দুই(আড়াইহাজার) আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই। এ শ্লোগান দিয়ে একটি তোরন নির্মাণকালীন অবস্থায় মরদাসাদী এলাকার বাসিন্দা শওকত আলীর ছেলে ডাকাত সর্দার আক্তার হোসেন, হাসেন আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া, গাফফার মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, হাবিবুল্লাহর ছেলে জয়নাল মিয়াসহ দশ পনের জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোরন নির্মাণের শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে মামলাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ওই শ্রমিকদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলে যদি এখানে তোরন নির্মাণ করছ তাহলে তোদের হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। এতে ওই এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই সকল তোরনে ছিড়ে ফেলে এতে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী এসহাক মিয়া জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ও দলের চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের ছবি সম্বলিত পোষ্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ছিড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সকল সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় চাঁদাবাজি ও রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এই সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থক বলেও জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সাথে সাথে ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের পেষ্টার, ফেষ্টুন, ব্যানার ছিড়ে ফেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।