A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ  নাগরিক পরিবহনের চেয়ারম্যান এম এ রহিমকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন পরিবহন চাঁদাবাজ হেলাল মিয়া ও তার সহযোগীরা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি শনিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন(জিডি)।

সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক পরিবহনের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারকে ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সুনামের সাথে ব্যবসা পারিচালনা করে আসছি। সম্প্রতি পরিবহন চাঁদাবাজ হেলাল মিয়া তাদের পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করায় তিনি প্রতিবাদ করেন। তাদের দুজনের মোবাইল ফোনের অডিও কথপোকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকে হেলাল মিয়া ও তার সহযোগী সাব্বির মিয়া বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার দিয়ে মুঠোফোনে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে চাঁদাবাজরা এম এ রহিম মুন্সীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এতে ওই পরিবহনের চালক ও মালিকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নাগরিক পরিবহনের চেয়ারম্যান হাজী এম এ রহিম মুন্সী জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি আমি চাঁদা দিবো না। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই সকল পরিবহন চাঁদাবাজরা। আমার জীবন থাকতে আমি কোন অবস্থাতেই এক টাকাও চাঁদাবাজদের দিবো না। এসকল চাঁদাবাজদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

পরিবহন চালক ও মালিকরা জানান, আলোচিত সাত হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চার নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূরুদ্দিন মিয়া ও আরেক ছ্টো ভাই বাংলাদেশ আন্তজিলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন শিমড়াইল শাখার সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান জজের সহযোগী হিসেবে পুরো এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে সকল কিছুই পরিচালনা করেছেন সবুজ মিয়া।

অপরদিকে পরিবহন সেক্টরের চিহিৃত চাঁদাবাজ একাধিক মামলার আসামী হেলাল মিয়া গেল ১৫ বছরে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল ওমর বাবুর সহযোগী হিসেবে পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন এই দুই আওয়ামীলীগের দোসর শিমরাইল এলাকায় নিউ বেকার, নাফ পরিবহন, শ্রমিক পরিবহন, নাগরিক পরিবহন, সুরমা সুপার, কচুয়া পরিবহন, হোমনা পরিবহন, দাউদকান্দি পরিবহন, গজারিয়া পরিবহন, গ্রীণ বাংলা, মেঘনা ডিলাক্স ও মতলব এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করছেন। স্থানীয় প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না বলে অভিযোগ করছেন তারা।

এছাড়া শিমরাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টুটুল মিয়া, কবির হোসেন, সোহাগ ওরফে কানা সোহাগ ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় আরিফ হোসেন, গাউছিয়া এলাকায় রুহুল মিয়া ও কাউসার মিয়া নামে এসকল পরিবহন থেকে প্রতিদিন একশত আশি টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছেন। তবে সবুজ মিয়া ও হেলাল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা চাঁদাবাজির সাথে কোনভাবে জড়িত নন বলে দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এক পরিবহন ব্যবসায়ী একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে এই চাঁদাবাজচক্রকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হবে।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন কালের কন্ঠকে জানান, পরিবহন চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরী করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচলনা করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। খুই শিগ্রই এসকল চিহিৃত চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

 

আগের সংবাদ দেখুনডেমরায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
পরের সংবাদ দেখুনঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিন পয়েন্ট মাসে দুই কোটি টাকা চাঁদা উত্তোলন