A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে। যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়। আমাদের দেশকে গাজার মত বানাতে চায়।

শেখ হাসিনা একা এগুলোকে ফেস করছে। আমাদের সকলকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামী করেছি দুশো বছর। এবার গোলামী থেকে মুক্তি পাবেন না। দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে। শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইবো না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাবো, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারবো না। আমার বাবা ও দাদা সবাই এমপি ছিলেন। অনেকে রাজনীতিকে ব্যাবসা হিসেবে নেয়।

আমরা রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছি। আমরা মানুসের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করলে আল্লাহ যদি খুশি হন আপনারাও খুশি হবেন। আমরা বারো থেকে পনেরো হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।

আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী বাংলাদেশের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি ছিলেন। আমার মাকে আমার দাদা হীরা মহল উপহার দিয়েছিল। আমার বাবা ক্ষমতায় থাকাকালে প্রচুর টাকা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেই বাড়ি বন্ধক রেখে আমার বড় ভাইকে বিয়ে দিয়েছিলেন।

১৬ জুন ২০০১ আমাকে মারার জন্য বোম ব্লাস্ট করা হয়েছিল। আমার বেঁচে থাকার কথা না। আমার পা খুলে গিয়েছিল। হয়ত ভাল কাজ করায় আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি যখন কাবা শরীফে গিয়েছিলাম। সেদিন শুক্রবার ছিল, বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি সেখানেবসে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করবো, পুনর্বাসন করবো। আমি আপাকে বললাম আমি আল্লাহর ঘর ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছি।

তিনি বললেন ভাল কাজ করতে গেলে বাঁধা আসবেই। তুমি তোমার কাজ করে যাও। যেদিন সে কাজে হাত দিলাম সেদিনই বড় বড় দেশের এম্বাসেডররা বড় বড় বক্তব্য দেয়া শুরু করল। নারায়ণগঞ্জের সকল ইমাম সাহেব ও বিভিন্ন ধর্মের গুরুদের সাথে পরামর্শ করে এটা উচ্ছেদ করেছি।

এত কাজ হচ্ছে। এগুলো ভোগ করবে কে। আমি আর ভোট চাইবো না। আমি রাজনীতি না করলে বৌ বাচ্চা নিয়ে বিদেশ ঘুরতাম। এবার আমি শপথ করেছি। যদি আল্লাহর হুকুম হয়, এটা আপনাদের সহায়তা ছাড়া পারবো না। আপনারা যদি ফুল ফল গাছ লাগান সেটার পরিচর্যা করেন। ফুল নেন ফল খান। সেটা পরিচর্যা না করলে জঙ্গল হবে কাটা গাছ হবে। আমি ফুলগাছ হলে আমাকে পরিচর্যা করবেন আর কাটা গাছ হলে আমাকে উচ্ছেদ করবেন।

তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন তওবার নামাজ পড়ে ঘুমাই। কারণ আমি প্রতিদিনই আমার শেষ দিন মনে করি। আমি হয়ত আর ইলেকশন করবো না। সম্ভাবনা খুব কম। আমি এর আগে একটা কাজ করতে চাই। মাদক ও ইভটিজিং বন্ধ করতে। যে মাদক বেঁচে সে হচ্ছে ইবলিশ। যে বাড়িতে একটি ছেলে মাদক খায় সে বাড়ি দোযখ হয়ে যায়। এক পুলিশ অফিসারের মেয়ে মাদকের জন্য বাবা মাকে জবাই করে ফেলল। এমন অনেকে এখানেও আছে। আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে হয়ত ছবিও তোলে অনেকে।

তিনি আরো বলেন, আমার বাবা যাওয়ার পর একবেলা খেয়েছি একবেলা খাইনি। নয়শ টাকার জন্য কলেজের ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। এবার আমরা সমাজের সকল ভাল মানুষগুলোকে নিয়ে কাজ করবো। প্রতি ওয়ার্ড থেকে এক হাজার লোক নিয়ে মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করতে চাই। আমি চাই আমি মারা গেলে যখন আপনার কাছে খবর আসবে আপনি বলবেন আহ্ লোকটা মারা গেছে। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। জীবিত থাকতে অনেক জিনিস পাবো। সেগুলো সবই বোগাস। দোয়া করবেন আমি যেন আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে মরতে পারি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদল, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোঃ সুমন কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভুইয়া রাজু ও যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগের সংবাদ দেখুনদশ চেয়ারম্যানকে শোকজ নারায়ণগঞ্জে নৌকা প্রার্থীসহ
পরের সংবাদ দেখুনকাচপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ওঠান বৈঠকের আয়োজন করেন