A Top Ads

বিবাদমান দুই পক্ষই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার কাজ শেষ করবেন- এমন আশা ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আগে এক মঞ্চ থেকেই একবারই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হতো। কিন্তু মাওলানা জোবায়ের এবং মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের আগে দুই বছর দুই ভাগে বিশ্ব ইজতেমা করেছে দুই পক্ষ। মাঝখানে মহামারীর কারণে দুই বছর ইজতেমার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

এবার মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বে ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা ২০-২২ জানুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করবেন। প্রতি পর্বেই শেষ দিনে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগেও তারা দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা পরিচালনা করেছেন। নতুন করে তাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয়, উভইপক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমাটা শেষ করবেন।“

ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের অবস্থান করা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “বিদেশি মেহমানদের জন্য এবারে আরেকটু সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব শেষে তারা ইজতেমাস্থল ত্যাগ করে আমাদের হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা গন্তব্যে যাবেন।

“আর দ্বিতীয় পর্বে বিদেশি মেহমান যারা আসবেন তারা ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবেন এবং ইজতেমা শেষে তারা যার যার গন্তব্যে চলে যাবেন।”

এ সময় ইজতেমায় নিরাপত্তা নিয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব সময় যেরকম থাকে এবারও তাই থাকবে। তার সঙ্গে এবারে সাইবার নিরাপত্তা যুক্ত করা হয়েছে। ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

“প্রতিবারই সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তুরাগ নদীর উপর পন্টুন সেতু নির্মাণ করে থাকে। কাজেই সবারই এখানে দৃষ্টি রয়েছে। আমি মনে করি, এবারও অত্যন্ত সুন্দরভাবেই ইজতেমা সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে প্রস্তুতি কাজের প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।“

সভায় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের কশিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগের সংবাদ দেখুনখুলনায় মায়ের নামে কেনা জমি দেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
পরের সংবাদ দেখুনএমপি বাবুর সম্পদের পাহাড়