
ফতুল্লার তল্লা এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুমির দুই সহযোগীকে মাদক বিক্রিকালে হাতে নাতে অটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। তারা হলো- মো. রুবেল হোসেন(২৬) ও মনির হোসেন (৩০)।
দুপুর ১টার দিকে সময় ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সবুজবাগ এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির সময় স্থানীয় জনতা গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি হেরোইন সেবন করার উপকরণসহ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও মনিরকে আটক করে।
পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেহেদী মোহাম্মদ বাবুর অফিসে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় মেম্বার মেহেদী মোহাম্মদ বাবু তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করে। রুবেল ও মনিরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, চাঁনমারি এলাকার মহিলা সন্ত্রাসী মাদক সম্রাজ্ঞি রুমির মাদক নিয়ন্ত্রকের মধ্যে অন্যতম এই দুই জন। তারা চানমারিতে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলো।
কিছুদিন আগে চাঁনমারিকে মাদকমুক্ত করার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে বস্তি উচ্ছেদের পর বুড়ির দোকান, তল্লা সবুজবাগ, মডেল গার্মেন্টস এলাকা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে এক মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে তারা। তল্লা মডেল গার্মেন্টস এলাকায় জামাই বাজার সবুজবাগ এলাকায় রুমির মাদকের নিয়ন্ত্রক হলো রুবেল ও মনির।
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মেহেদী মোহাম্মদ বাবু বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত রাখতে যা যা করনিয় আমি তাই করব। এভাবে জনগণ আমার পাশে থাকলে মাদক মুক্ত করা খুব সহজ।
আমার ওয়ার্ডের জনগণ যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন এতে করে আমি অনুপ্রাণিত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
আমি শুনতে পাই আমার এলাকার স্থানীয় জনতা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরে এনেছে আমার অফিসে। আমি শোনে তৎক্ষণাৎ ফতুল্লা থানা পুলিশকে অবহিত করি।
পরে থানা পুলিশ আসার পর এই মাদক ব্যবসায়ী দুইজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি। মাদক নিয়ে কোন আপোষ নাই।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এ এসআই কামল জানান, এলাকাবাসী দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।