
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
আড়াইহাজারে নির্বাচনে জয় পরাজয়ের রেশ ধরে বর্তমান ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করাকে কেন্দ্র করে পরাজিত দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকদের ১০টি বাড়ী ভাংচুর ও অগ্নী সংযোগ করে একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ব্রাক্ষ্মন্দী ইউনিয়নের মারুয়াদী এলাকায় সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাক্ষ্মন্দী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য খালেদ (৪০)’কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ওয়ার্ডে বিগত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী খালেদ মেম্বার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন কামরুল ও শাহিন। নির্বাচনের পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। অভিযোগ উঠেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে খালেদ মেম্বার তার নিজ বাড়ী মারুয়াদী থেকে আড়াইহাজার পৌর-সদরে তার ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মারুয়াদী বালুর মাঠ এলাকায় পরাজিত প্রার্থী শাহিন ও তার লোকজন তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টায় গুরুতর আহত করে। মূমুর্ষূ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার অবস্থা আশংকাজনক বিধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টা পর আহত খালেদ মেম্বারের লোকজন পরাজিত প্রার্থী কামরুল ও শাহিনসহ তাদের সমর্থকদের ১০/১২টি বাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর চালায় এবং কামরুলের ভাগিনা রাব্বির একটি মোটর সাইকেলে অগ্নী সংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনার পর থেকে কামরুল এবং শাহিন স্বপরিবারে এলাকা ছাড়া রয়েছেন।
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী কামরুল এবং শাহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, নির্বাচনের সময় তারা যে নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো ব্যবহার করতেন, পরবর্তীতে সেগুলো ব্যাক্তিগত অফিস ঘর হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এবং এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ছবি টাঙানো ছিল। ওই দুটি অফিস সোমবার রাতে খালেদ মেম্বারের লোকজন ভাংচুর করে। এর রেশ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলা চালনো হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা শাহিনের ঘরে থাকা ৪টি গরু বিক্রির নগদ ৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে বলে শাহিন জানান।
আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, ঘটনা জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজে ও ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সারারাত সেখানে পুলিশ অবস্থান করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো (এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত) কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।