
দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা আর সিদ্ধিরগঞ্জের সরকারি তেল ডিপো ঘিবে তেলচুরির মহোৎসব চলে সারাদিন আর সারা রাত ব্যাপী। জলে ও স্থলে ও সরকারী জ্বালানী তেল চুরির মহোৎসব চালিয়ে একেকজন যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের চাইতে বড় কিছু থাকলেও তার সাথে তুলনা করা যেন দায় হয়ে উঠে। আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্যি এই তেলচোরচক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে খোদ ডিবি পুলিশের সদস্য খুনের শিকার হলে ওই পুলিশ সদস্যের লাশ ফেলতে এক লংকাকন্ডের জন্ম দিয়েছে এই খুনী অর্থাৎ তেলচোর চক্রের হোতারা।
এমন খুনের ঘটনার পর কয়েক কোটি টাকায় পুলিশ খুনের ঘটনাও ধামাচাপা দিয়েছে এই খুনি চক্র ।
এই খুনী অর্থাৎ তেল চোর চক্রের সদস্যরা সকল ধরণের অপরাধে যেন সিদ্ধহস্ত। ডিপোর ভিতরে মিটারে চুরি করে সকল চোরাই তেল আবার এই চোর চক্র প্রতিদিন ভাগবাটোয়ারা করে প্রকাশ্যেই ।
আর থানা পুলিশের ওসি রূলকল ডেকে সকল পুলিশ সদস্যদের সাবধান করে দেন যেন, “তেল চুরির ঘটনাস্থলের আশেপাশে যেন কোন পুলিশ ডিউটি করতে না যান। এটি উপরের আদেশ। জ্বালানী তেলচুরি যেখানে হবে তার আশেপাশে কোন পুলিশ সদস্য যদি ডিউটি করতে গিয়ে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটালে থানায় চাকরী করা যাবে না বলেও সতর্কতা জারি থাকে সব সময়।” এমন মন্তব্য পুলিশের কয়েকজন সদস্যের ।
বিশাল এই তেল চোর চক্রের আস্তানা থেকে পুরো জ্বালানী তেল ভর্তি ট্যাংকলরি চুরি হওয়ার ঘটনায় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যাপক হাস্যেরসের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সারাদিন ই সমালোচনা করে বলেছেন, “তামাশা আর কত যে দেখতে হইবো !”
জানা যায়, ফতুল্লার যমুনার গেইট থেকে জ্বালানি তেলসহ চুরি হওয়া ট্যাংকলরি (নারায়ণগঞ্জ ঢ-০১-০০৬৯) কাঁচপুর থেকে খালি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, চোরের ৯ হাজার লিটার জ্বালানি তেল (ডিজেল) চুরি করে খালি ট্যাংকলরিটি ফেলে রেখে যায়।
শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে ফতুল্লার সরকারি তেল ডিপো যমুনার গেইট থেকে ৯ হাজার লিটার জ্বালানি তেল ডিজেলসহ ট্যাংকলরিটি চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় চোরেরা। এ ঘটনায় ট্যাংকলরির মালিক মো. উজ্জল বাদী হয়ে শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ট্যাংকলরির মালিক উজ্জল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে যমুনা তেল ডিপো হতে ৯ হাজার লিটার জ্বালানি তেল উত্তোলন করে ট্যাংকলরিটি ডিপোর সামনে রাখা হয়। পরবরর্তীতে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ট্যাংকলরির চালক ও তার সহযোগি যমুনা গেইট এলাকায় এসে দেখতে পায় যে ডিজেল ভর্তি ট্যাংকলরিটি যথাস্থানে নেই। পরে তারা ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এক পর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে জানতে পারেন একটি ট্যাংকলরি কাঁচপুর এলাকায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা খালি ট্যাংকলরিটিকে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানায়, ট্যাংকলরিতে থাকা ডিজেল নিয়ে গিয়ে ট্যাংকলরিটি কাঁচপুর এলাকায় ফেলে রেখে যায় চোরেরা। তিনি সেখান থেকে ট্যাংকলরিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। চুরি করে নিয়ে যাওয়া জ্বালানি তেল ও জড়িতদের সনাক্তসহ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।