A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র‌্যাব-১১ বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব-১১ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ স্বরূপ র‌্যাব-১১ সিপিসি-১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ২১ মে রাত ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তৃতীয় লিঙ্গের ৮ জন মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ৩৫,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

সোমবার র‌্যাব-১১’র কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলমের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাইটামপাড়া গ্রামের মৃত ফোজাম্মতের ছেলে রফিক ওরফে ললিতা (৪০), মহেষখালী পাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে রায়হান ওরফে আখি (২০), কক্সবাজার সদরের মহুরীপাড়া লিংরোড গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে রবি আলম ওরফে বিউটি (৪০), বাজারঘাটা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রবি আলম ওরফে প্রিয়া (২৪), মৃত জহির আহমেদের ছেলে ফারুক ওরফে রিয়ামনি (২৫), উখিয়া থানাধীন লেদা লামারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে একরাম ওরফে পরীমনি (২২), আব্দুস সালামের ছেলে সাবের ওরফে বিজলী (২২) এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগা থানাধীন ফতেহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আল-আমিন ওরফে নিশি (৩৫)।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের দল নেতাসহ সকলেই তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য। তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অত্যন্ত কৌশলীভাবে তৃতীয় লিঙ্গের আড়ালে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমনের বাহানায় নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য ইয়াবা ক্রয় বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এই সক্রিয় চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা এসকল মাদকদ্রব্য নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবারহ করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আগের সংবাদ দেখুনসোনারগাঁ আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল
পরের সংবাদ দেখুনগজরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি খোকন,সম্পাদক ইঞ্জি:শফিক