A Top Ads

মো. নুর আলম, নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে কাঁচপুর থেকে আউখাব পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ার সাথে সাথে সড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে এ রমজানে প্রচন্ড তাপদাহের সাথে মহাসড়কে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থল ফেরা মানুষ, ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা যাত্রী সাধারণ ও পথোচারীরা।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে আউখাব পর্যন্ত উভয় দিকে সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে সৃষ্ট তীব্র যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া নারী ও বৃদ্ধরা।

এদিকে পবিত্র রমজান মাসে প্রচন্ড তাপদাহের সাথে সড়কে যানজটের ভোগান্তি যেন মানুষের জীবন ওষ্টাগত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

জানা যায়, অসন্ন ঈদ যতই এগুচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ৩টি পয়েন্ট থেকে প্রায় প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এর মধ্যে বরপা বাস স্টপেজে রয়েছে লোকাল আরও চারটি যানবাহন স্ট্যান্ড। এসকল স্ট্যান্ডের যানের অবাধ বিচরণে হরহামেশায় তৈরি হচ্ছে যানজট। অন্যদিকে মহাসড়কের রূপসী ও বরাবতে উভয় দিকের লিংক রোডের মুখে লেগুনা, ইজিবাইক ও রিকশার অভয়ারণ্য হওয়ার কারণে ঠুনকো কারণেই যানজট হচ্ছে। ঈদ লগ্নে মহাসড়কে সৃষ্ট যানজট ভোগান্তি মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দেখা দিয়েছে।

রোকন মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, শিমরাইল মোড় যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে ৩০ মিনিট আগে বরপা থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু সড়কে যানজটে পরে এখোনো তারাব বিশ^রোড পার হতে পারিনি। যানজট বিহীন সড়কে এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৬-৭ মিনিট লাগতো। কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো তাও বলতে পারছিনা। ঢাকা-সিলেট সড়কে চলাচলকারী যাতায়াত পরিবহনের যাত্রী অসিফুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে আমার তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। তবে বরপা আসতেই লেগেছে দুই ঘন্টা। কখন গন্তব্যে যেতে পারব তাও জানি না।

গোরি পরিবহনের চালক জোবায়ের আকন্দ জানান, মহাসড়কের বরপা, রূপসী, বরাব এলাকায় থেমে থেমে যানজট নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়ায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে, পথে ভোগান্তিও বেড়েছে। এভাবে যানজট লেগে থাকলে ঈদে বাড়তি আয়’তো দূরের কথা সংসারের খরচ জোগানোই কঠিন হবে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) ফারুক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে আমাদের কর্মকর্তারা যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য ২৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। একযোগে আমাদের পিকেট ডিউটি টিম ও হোনডা মোবাইল টিম কাজ করছে। যানজট তৈরি হওয়া স্পটগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আগের সংবাদ দেখুনস্কুল ছাত্র হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার
পরের সংবাদ দেখুনসিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএপির আংশিক কমিটি!