
ফয়সাল আহমেদ, সোনারগাঁ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মোগরাপাড়া পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় দশ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোনারগায়ের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের যাত্রাকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের আগমনের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলে যাওয়া যাত্রীরা। বুধবার (২৯ মার্চ) বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিন গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর’সহ কয়েকটি পয়েন্টে পুণ্যার্থীরা যানবাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ পুণ্যার্থীদের আগমনের কারণে মহাসড়কে ভোর থেকেই যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, তীব্র যানজটের কারণে অধিকাংশকেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার তীব্র যানজটের কারণে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া নারী ও বৃদ্ধরা। এদিকে বিভিন্ন যানবাহন মালিকরা এ সুযোগে বেশি ভাড়া আদায় করলেও তাতেও যাত্রীদের কোনো লাভ হচ্ছে না। যানজট এতই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এক পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্টে যেতে ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যায়।
মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক চাকুরিজীবী জানান, কাঁচপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘণ্টা খানেক আগে শিমরাইল মোড় থেকে বাসে উঠলেও এখনো বাস একই স্থানে আছে। সাধারণ দিনগুলোতে কাঁচপুর যেতে সর্বোচ্চ ৬-৭ মিনিট লাগত।
সালমা নামে এক গার্মেন্টকর্মী জানান, দীর্ঘক্ষণ বাসে বসে আছি। কতক্ষণ রাস্তার এ অবস্থা থাকবে জানা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পায়ে হেঁটেই গার্মেন্টসে যাব।
রফিকুল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসায়ের জরুরি কাজে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। মহাসড়কে যে ভয়াবহ যানজট দেখছি তাতে করে আজ আর গন্তব্যস্থলে যাওয়া যাবে না।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, লাঙ্গলবন্দ স্নানকে কেন্দ্র করে পুণ্যার্থীদের আগমনকে ঘিরে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ২০টি টিম মহাসড়কে কাজ করছেন।