A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ রাজধানী যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) সোমবার হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা মোল্লা কলেজের ভেতরে প্রবেশ করে কলেজ অভ্যন্তরের নিচ তলা থেকে ১০ তলা পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষ ও অফিসসহ সবকিছু ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কলেজের অফিসে থাকা ল্যাপটপ, টেলিভিশন, চেয়ার ও অন্যান্য সব মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় মোল্লা কলেজে ওই দুই কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। পরে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা আটকে পড়া ছাত্রদের একেক জনকে বের বেধরক মারধর করে। এ ঘটনায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বেলা বাড়ার সাথে অন্যান্য পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডেমরা যাত্রাবাড়ী সড়কে অবস্থান নিতে থাকে। এ সময় মোল্লা কলেজ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মোল্লা কলেজের আশপাশের বাসা বাড়ীতে ঢুকে পড়লে অধিবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ঘটনায় ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মোলাø কলেজে প্রবেশ করতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর দুপুরে সাজোয়া যানসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর মোল্লা কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশদের উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া বলে স্লেগান দেয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার খবর পাওয়ার পরও পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। মোল্লা কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সাবি¦র, নাহিয়ান, আফজাল, ওসীমান্তসহ অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববার রাত থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে হামলা চালিয়েছে। সোমবার সকাল ফের সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে আমাদের কলেজে তান্ডব চালায়। এ সময় আমরা প্রশাসনের কোন সহযোগীতা পাইনি।

এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ, সোহরায়ার্দী কলেজসহ অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, গত রোববার পরীক্ষারত অবস্থায় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের মারধর করে আহত করা হয়।

ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সালেহ আহম্মেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রভাষক রিদোয়ান ইসলাম জানান, সরকারি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়াদী কলেজের শিক্ষার্থীরা পূর্বে ঘোষনা দিয়েই কলেজে হামলা চালিয়েছেন।

আমাদের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। কলেজ ভবনের আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধণ হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান নূর
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
মোবা: ০১৮১৯-০৩০৭৯৩
তারিখ: ২৫-১১-২৪

আগের সংবাদ দেখুননাস্তিত্ববাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনাঃ ধর্ম উপদেষ্টা
পরের সংবাদ দেখুনফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৬