
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ: সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার ভয়ে রাজধানীর প্রবেশদ্বার ডেমরাতেও যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতুর পশ্চিমপাড়ের একমাত্র চেকপোস্টে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে থানা-ট্রাফিক পুলিশ ও র্যাব-১০।
এদিকে চেকপোস্টে পুলিশ শূন্যতার সুযোগে জয় বাংলা স্লোগানে ও আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনেক বাস নির্বিঘেœ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী নিয়ে শহরে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা টের পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে ডেমরা থানা পুলিশ। পরক্ষণেই স্টাফ কোয়ার্টারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসও চেক শুরু করে পুলিশ। তবে শনিবার সকাল থেকে ডেমরার চেকপোস্টে ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম চললেও আওয়ামী লীগেরে ব্যানারে শহরে যাওয়া কোন বাস চেক করা হয়নি। এদিকে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির ২৯ নেতার্মীকে শনিবার আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন স্টাফ কোয়ার্টার থেকে শহরে যাওয়ার চেষ্টার সময় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম।
দুর্ভোগের বিষয়ে যাত্রাবাড়ীগামী শাহজাহান নামে এক পথচারী বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে সুলতানা কামাল সেতুর মাঝখানে নেমেছি যেখানে স্টাফ কোয়র্টার পর্যন্ত লেগুনা ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। হেটে স্টাফ কোয়ার্টার আসার ১ ঘন্টাতেও কোন বাস না পেয়ে রাইড শেয়ারিংয়ে ৩ গুণ ভাড়া দিয়ে রওয়ানা দিলাম।
মো. আল-আমিন নামে কুড়িলগামী এক যাত্রী জানান, স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরার বাস ভাড়া ৩০ টাকা সেখানে শেয়ারিং সিএনজিতে যেতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত একটি শেয়ারিং সিএনজি পেলাম।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,সকাল থেকেই ডেমরা থানা পুলিশ তৎপর রয়েছেন যার যার দায়িত্বে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন সড়কে। তবে চেকেপোস্টে পুলিশশূন্যতার বিষয়টি দীর্ঘ সময়ের নয়। হয়তো কিছু নাস্তা খাওয়ার জন্য সবাই চেকপোস্টের পাশে গিয়েছে। আমি জানতে পেরে সাথে ওখানে এলার্ট করেছি।