A Top Ads

নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ

রমজান মাসে নিত্য পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত্ব। সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ক্রয় সামর্থ প্রায় নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকের কাছে কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়েছে টিসিবির পণ্য। কিন্তু সেখানেও ভোগান্তি! ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কেউ কেউ পণ্য পেলেও ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। আবার কেউ কেউ সব পণ্য ন্যায্য মূল্যে কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

শনিবার (২৫ মার্চ) সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ডস্থ কদমতলী এলাকায় টিসিবির পণ্য নিতে এসে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে। কদমতলী এলাকায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কেনার জন্য নারী’সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। শতাধিক মানুষকে লাইনের সিরিয়াল নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে। তারপরও পণ্য না পাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই অবৈধভাবে লাইন ভেঙে আগে পণ্য নেয়ার চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। ঝগড়া ও হট্টগোলের মধ্য দিয়েই তেল, চিনি, মশুরের ডাল ও ছোলাবুট কিনছেন মানুষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, কদমতলী দক্ষিণপাড়া শাহিনুর স্কুলের ভেতরে এবং বাহিরে অসংখ্য মানুষের ভিড়। অধিকাংশ মানুষ সকাল থেকে রাস্তার উপর যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এদিকে দাড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, রমজানের আগে টিসবির পণ্য দেওয়ার কথা। কিন্তু ডিলারদের গাফিলতির কারণে এই রমজানে আমরা রোজা রেখে সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। এখন দুপুর গড়িয়ে এলো বিকেল। আমরা এখনো টিসিবির পণ্য পাইনি।

কুলসুম নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, টিসিবির পণ্য গত (২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার) কদমতলী দক্ষিণপাড়া শাহিনুর স্কুলের ভেতরে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু ডিলাররা দু’দিন পর অপরিকল্পিত ভাবে এই পণ্য এমন একটি জায়গায় বিতরণ করছে, যেখানে শতশত মানুষ একটু দাড়ানোর জায়গা নেই।
এ বিষয়ে নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপনের কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি মাসে দুইবার টিসিবির পণ্য আশে। আমি আমার ওয়ার্ডে দক্ষিণ কদমতলী নাভানা ভূইয়া সিটি এলাকায় এবং কদমতলী মধ্যপাড়া দশ তলা ভবনের পাশে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এবার একটু সমস্যা হয়েছে, নাভানা ভূইয়া সিটির কর্তৃপক্ষ নিষেধ করেছে তাদের এরিয়ার ভিতরে যেন টিসিবির পন্য বিক্রি না করা হয়।
পণ্য নিতে লাইনে থাকা মানুষের বিশৃঙ্খলার জন্য বিরক্তি নিয়ে মুনজু বলেন, ‘এত কষ্ট করে আমরা লাইনে দাঁড়াই, কিন্তু কিছু লোক লাইনে দাঁড়ানোর পরোয়া না করে জোর করে পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে নির্দিষ্ট দোকান ঘড় তৈরি করে দিলে এখান থেকে যে কোন সময় পণ্য কিনে নেয়া যাবে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আগের সংবাদ দেখুনঅস্ত্রসহ চার ডাকাত গ্রেফতার
পরের সংবাদ দেখুনবেদেপাড়ায় শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প