
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেটের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া একজন পাগল, উন্মাদ ও মানসিক রোগী ও অর্থআত্মসাৎকারী শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মার্কেটের দোকানদার মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি আমির হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ড, জাল দলিল করে মার্কেটের জমি দখল, বিদ্যুৎ বিল ও মার্কেট উন্নয়ণের নামে প্রায় ৪১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন জামান মিয়া নামে এক ব্যক্তি। সেইসাথে সমিতির কর্মকর্তাদের মারধর, তহবিলের অর্থ আত্মসাৎসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয় জামান মিয়ার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২৪ মে সমিতির কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহ- সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহাদাৎ চৌধুরীকে মারধর করেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর যুগ্ম সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা ও কোষাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ তাজুকেও মারধর করেন জামান। বিভিন্ন খাত থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থও আত্মসাৎ করেন তিনি। এর মধ্যে মার্কেটের বিদ্যুতের প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা, উন্নয়ন রশিদের প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ও সদস্যদের কাছ থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এসব সুনির্দিষ্ট অপরাধের দায়ে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে সর্বসম্মতিক্রমে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি রেজিস্ট্রার্ড অব ট্রেড ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই জামান মিয়া সমিতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, সেই থেকে তিনি কাল্পনিক অভিযোগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমিতির সাধারণ সদস্যসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বর্তমান কমিটিকে হয়রানি করছেন। ২০১৮ সালের ১ মার্চ বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একাধিক রিট করে নির্বাচিত কমিটির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেছেন তিনি। পরবর্তীতে বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চ জামান মিয়াকে ভিত্তিহীন, ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করে।
জামান মিয়ার বক্তব্যকে খন্ডন করে আরো জানানো হয়, হাজী ইয়াসিন মিয়া মার্কেটটির সভাপতি। তার নেতৃত্বাধীন কমিটি সরকারের যথাযথ দপ্তরের অনুমোদিত,যার রেজিষ্ট্রেশন নং-১৬৯৮) অথচ জামান মিয়া দাবি করেছেন, ইয়াসিন মিয়া এই মার্কেটের কেউ না। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, জামান গং মার্কেটের ভেতরের বিভিন্ন দাগের জমির জাল দলিল তৈরি করেছে ও আশেপাশের মালিকদের জায়গা দখল করে নিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কার্যকরী সভাপতি আমির হোসেন বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই জামান মিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ গণমাধ্যমের সাহায্যে জানাচ্ছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির আলহাজ্ব ফেরদৌস আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক হাজী সিরাজউদ্দৌলা, বাবুল মিয়া, আমিনুল হক রাজু, সহ কোষাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়েদ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক খোকন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আবুল হাশেম, সহ প্রচার সম্পাদক হাজী মানিক সরাইসহ মার্কেটের ব্যবসায়ীবৃন্দ।