
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজ
সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রতিবাদ সভা করেছেন চুনাভাট্টির মালিকরা। বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় আটি এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেঘনা লাইমসের সত্তাধিকারী আব্দুল হাই মেম্বারের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জাজিরা লাইমসের সত্তাধিকারী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ আনোয়ার ইসলাম, ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মদীনা লাইমসের সত্তাধিকারী ওমর ফারুক, আরাফাত লাইমসের সত্তাধিকারী আলহাজ¦ হযরত আলী, রহমান লাইমসের সত্তাধিকারী শহিদ হাসান বিটু, ঢাকা ও যমুনা লাইমস এর সত্তাধিকারী খোরশেদ আলম, ফয়সাল লাইমসের সত্তাধিকারী ফয়সাল নেওয়াজ রানা, হারুন লাইমসের সত্তাধিকারী আব্দুল করিমসহ অন্যান্য কারখানার মালিকবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মেঘনা লাইমসের সত্তাধিকারী আব্দুল হাই মেম্বার বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানায় চাচা-ভাতিজার মিশন শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমাদের চুনাশিল্পের ক্ষতি সাধনে কে বা কারা গণমাধ্যম কর্মীদের এসব মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তীকর তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছেন। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
রহমান লাইমসের সত্তাধিকারী শহিদ হাসান বিটু বলেন, সংবাদে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও তার ভাতিজা সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুককে নিয়ে সেকল তথ্য দেওয়া হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। তারা কোন চুনা কারখানা থেকে এক টাকাও চাঁদা দাবি করেন নি। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য মাসিক দুই লাখ টাকা চাঁদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এর কোন ভিত্তি নেই। আমরা চুনা ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তি আমার নামে বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি ও আমার ভাতিজা ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মদীনা লাইমসের সত্তাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, আমি কাউন্সিলর থাকাকালিন সময় সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কোন অবস্থাতেই চুনাভাট্টির মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সাথে জড়িত ছিলাম না, বর্তমানেও নাই। তিনি বলেন, আমি বা আমার নেতৃত্বে চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তির চুনা কারখানার মালিকের কারখানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছি। এই ঘটনার বিন্দুমাত্র প্রমাণ করতে পারবে না কেউ।
আরাফাত লাইমসের সত্তাধিকারী আলহাজ¦ হযরত আলী জানান, আমাদের চুনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য এক পক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য বিভিন্ন দফতরে দিয়ে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হারুন লাইমসের সত্তাধিকারী আব্দুল করিম বলেন, আমাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২৬ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সত্যতা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। বিষয়টি মনগড়া ও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনেই আমাদেরকে জড়িয়ে এসকল অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি মহল।