নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রাসেল রানা ওরফে ফেন্সি রাসেলসহ একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় দেদাচ্ছে মাদক বিক্রির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ রযেছে।
এলাকায় প্রশাসনের চোঁখে ধুলো দিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। প্রশাসন বিভিন্ন কৌশলে মাদক ব্যবসা বন্ধে বিভিন্ন অভিযান করে মাদক কারবারিদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করার পরেও যেন কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলছে মাদকের কারবার। উল্লিখিত মাদক ব্যাবসায়ীদের অনেকের বিরোদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে।
এরা হচ্ছে শাহীমসজিদ এলাকার ফেন্সি রাসেল ওরফে পল্লী রাসেল, জনি ওরফে চেয়ারম্যান, গাঁজা ব্যবসায়ী হাবু, আনোয়ার, অলি, চান্দু, ছালেনগর এলাকার নাজমা ওরফে নাজু, সমু রাজু, নাদিম, বাবু সিকদার, শাহজালাল, বাড়ইপাড়া এলাকার বোবা, জামান, রুপালী আবাসিক এলাকার কাউল্যার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ, শফিক, এনায়েত নগর এলাকার সামসু, দক্ষিন খালপাড় এলাকার হেরোইন ব্যবসায়ী আল আমিন, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড এলাকার সজিব ওরফে লাউয়া সজিব, হাকিম মিয়ার ছেলে মাসুম ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর ২১নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ এলাকায় ফেন্সি রাসেল ওরফে পল্লী রাসেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারি এই রাসেল শাহীমসজিদ এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দালালীর অন্তরালে ফেরি করে ফেন্সিডিল বিক্রি করে থাকে। বিদ্যুৎ অফিসেও তার বিরোদ্ধে অভিযোগের পাহাড়।
সাধারণ মানুষকে মিটার দেয়ার নাম করে টাকা আতœসাত করে কয়েকবার থানা হাজতেও আটক থাকলেও প্রভাবের কারনে ছাড়া পেয়ে যায় এই প্রতারক মাদক কারবারি। কয়েক মাস পূর্বে এই মাদক ব্যবসায়ী রাসেল কুমিল্লা থেকে ফেন্সিডিল বহন করে আসার সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতারও হয়।
অপরদিকে একই এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী হাবিবুর ওরফে টেটনা হাবু। সে শাহী মসজিদ এলাকার মৃত জজ মিয়ার ছেলে ও বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা মাঈনুর চাচা। স্থানীয় ভাবে প্রভাবের কারণে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে এলাকায় দেদাচ্ছে মাদক বিক্রি করছে। ছালে নগর এলাকার চিহিৃত মাদক সম্রাজ্ঞী নাজমা ওরফে নাজু গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করলেও মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। মাদক ব্যবসায়ী বাবু সিকদার বর্তমানে মাদক মামলায় জেল হাজতে আছে।
রুপালী আবাসিক এলাকার কাইল্যার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ রুপালীতে মাদক ব্যবসা করছে। সোনাকান্দা কবরস্থান রোডে সজিব ওরফে লাউয়া সজিব সাইকেলে চড়ে বিভিন্ন ¯’ানে ইয়াবা ব্যবসা করে বেরা”েছ। এনায়েত নগর এলাকার সামসু ও মাসুম মিলে কবরস্থানের পাশে মোবাইলের মাধ্যমে ক্রেতাদের এনে মাদক ডেলিভারী দিয়ে থাকে।
স্থানীয় ওয়ার্ডবাসী জানায়, উল্যেখিত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা দিতে গেলে পড়তে হচ্ছে হুমকির মুখে। তারা ঘাঁটি গেড়ে নানা ধরনের মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ, তাদের দ্রুত প্রতিকার না করা গেলে বন্দরের যুবসমাজ পুরোপুরি ধ্বংসের পথে চলে যাবে। মাদকের ব্যাপকতা রোধে পুলিশের নিয়মিত টহল ও অভিযান চললেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃত মাদক ব্যাবসায়ী ধরা পড়েনা।
কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্স মাদক ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ লেনদেনের মাধ্যমে জিইয়ে রেখেছে মাদক ব্যাবসা। মাদকের সহজ লভ্যতার কারণে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা উদ্বগ্নি হয়ে পড়েছেন। তাই তাদেরকে দ্রুত প্রতিহত করতে আমরা সকলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মিয়া জানান, বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ও মাদক রোধে আমি প্রতিটি এলাকায় ইমামদের মাদকের বিষয়ে বয়ান দিতে অনুরোধ করেছি। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছি। প্রশাসনের অনেক অসাধু কর্মকর্তা অনেক মাদক বিক্রেতার বাসায় এসে বসে থাকে । পূর্বে অনেক জনপ্রতিনিধি ছিলো যারা মাদক বিক্রেতাদের ছারিয়ে রাখতো তাদের সাথে অনেকের ভালো সম্পর্ক। তবে আমি মাদকের বিরোদ্ধে আছি থাকবো।
এ বিষয়ে ওসি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরোদ্ধে। তবে মাদকের পাশাপাশি আমাদের সকল দিকেই নজড়দারি করতে হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রয়েছে, তারাও অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকের স্পট সম্পর্কে আমাকে জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্য্যালয়: ৪র্থ তলা, রুপালী সুপার মার্কেট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ।
বার্তা কক্ষ: ইমেইলঃ [email protected] মোবাইলঃ 01711581634, 01921-116126
Powered by Sourav Bhuiyan