
নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজঃ দলের নাম ব্যবহার করে যারাই অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ কায়সার রিফাত। তিনি বলেন, যারা দলের নাম ব্যবসহার করে চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী করবে তাদের কোন ছাড় হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ কায়সার রিফাত বলেন, নারায়ণগঞ্জের কোন উপজেলায়, কোন থানা এলাকায় এমনকি পাড়া মহল্লায় কৃষকদলের কোন কর্মী বা সদস্য ‘কেউ যেন আইন বহির্ভূত কোনো কাজ না করে। দলের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুন্ন হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলেই দেশের গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
নতুন প্রজন্ম পুরাতন জঞ্জাল সরাবে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ কৃষকদলের তরুন এই নেতা বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবাদী তারুণ্য কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আছে যদি দলের কেউ কোনো চাঁদাবাজি, নাশকতা ও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন তার দায়ভার দল নেবে না।
অপরাধী যত বড়ই নেতা হোন না কেন তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ছাত্র-জনতার বিজয়কে নসাৎ করতে একটি মহল নানা চক্রান্ত করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজিসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
১৫ বছর আওয়ামী লীগ দল করেছে। এমন ব্যক্তিকে যদি বিএনপির কোনো নেতা দলে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে আগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এমন কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে, এমন কর্মকান্ড যদি কেউ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা ইউনিয়ন পর্যায়, ওয়ার্ড পর্যায় মিটিং করেন। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের কর্মকান্ড এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগ সাড়ে ১৫ বছর চাঁদাবাজি করছে। মানুষের ধান, পাট লুট করেছে। স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। হাট-বাজার টেন্ডার ছাড়াই দখল করে নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দোকানপাট লুট করেছে। তাদের একটাই কাজ ছিল বিএনপিকে কি ভাবে সরিয়ে রাখা যায় সেই ষড়যন্ত্র। সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করা হতো। এখনো বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অনেকে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।